শাহরিয়ার কবির

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।তিনি বলেন,ওসমান পরিবারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে নির্যাতনের বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করলে তা সারাদেশের জন্য আত্মঘাতী হবে।শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসানে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।শাহরিয়ার কবির বলেন,শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের পাশে দাঁড়িয়েছে সারাদেশের মানুষ। যেমনটি দাঁড়িয়েছিল ২০০১ সালে পূর্ণিমা ধর্ষণের ঘটনায়।

তিনি বলেন, যশোরের চৌগাছা, অভয়নগরসহ কয়েকটি স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ-ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে-এটা খুবই উদ্বেগজনক এবং দেশের ভাবমূর্তির বিষয়। এই ঘটনাগুলো সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, এ বিষয়গুলোর প্রতিকারের জন্য সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ( ফৌজদারি)প্রণয়ন করতে হবে। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রণালয় চালু করতে হবে।শাহরিয়ার কবির জানান, খুব শিগগির সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। এতে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাম্প্রদায়িকতার চিত্র তুলে ধরা হবে।তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। মতবিনিময় সভায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। কিন্তু নব্য আওয়ামী লীগাররা দলকে সাম্প্রদায়িক দলে পরিণত করার চেষ্টা করছে। তাদের দ্বারা অনেক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণ ঠিক না। তবে প্রশাসনে স্বাধীনতা বিরোধীদের চাকরি দেয়া উচিত হবে না।যশোর গণজাগরণ মঞ্চের আহব্বায়ক কাজী আবদুস শহীদ লালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, কলামিস্ট সৈয়দ মাহাবুবুর রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ইকবাল কবীর জাহিদ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মজনু, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন প্রমুখ।মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর শাখার সভাপতি হারুন অর রশিদ।