BNP-pic-khaleda

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন পঞ্চম দফায় পিছিয়ে আগামী ০২ জুন পুননির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন খালেদা জিয়াকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়ে হাজির না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।বৃহস্পতিবার ৩৪২ ধারায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিন পেছাতে সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

শুনানি শেষে এ আবেদন মঞ্জুর করে ০২ জুন পুননির্ধারণ করেন আদালত। এর আগে গত ৭, ১৭ ও ২৫ এপ্রিল এবং ০৫ মে আরও চার দফা সময়ের আবেদন জানিয়ে দিন পিছিয়ে নেন খালেদা জিয়া। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান গত ০৭ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।আদেশের পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আমি আজই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছিলাম। বার বার কথা দিয়ে তার আইনজীবীরা প্রতিশ্র“তি রক্ষা করছেন না। খালেদা জিয়াও আদালতকে শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন না।এ কারণে বৃহস্পতিবারই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে যুক্তির্ক শুরু করার আবেদন করেছিলেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজের অস্থায়ী এজলাসে।এর আগে গত ৭, ১৭ ও ২৫ এপ্রিল ও ৫ মে চার দফা সময়ের আবেদন জানিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে নেন খালেদা জিয়া। এর আগে গত বছরের শুরুর দিকে টানা তিন মাস খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে থাকার সময় আদালতে না যাওয়ায় একই বিচারক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। পরোয়ানা জারির এক মাস দশ দিন পর খালেদা আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুর্নীতির এ দুই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।এ মামলায় জামিনে থাকা জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান গত ৭ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদসহ ৩২ জন।একই আদালতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদের জেরা চলছে।এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদসহ ৩২ জন সাক্ষী।অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা চলছে। অসমাপ্ত জেরা ও নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে হৃহস্পতিবার।