পরিবেশ দূষণ 

তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারের (ইটিপি) নির্মাণ ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যাতিত কারখানা পরিচালনা করে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত তরল বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে এবং শব্দ দূষণ ও দুর্গন্ধ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় গাজীপুরের এক কারখানাসহ ৪ টি কারখানাকে মোট ৫৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট উইং।

পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোজাহিদুর রহমান জানান, পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) এ,কে,এম, মিজানুর রহমান পরিবেশ দূষণের দায়ে গাজীপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪টি কারখানার মালিক/প্রতিনিধিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরে এনফোর্সমেন্ট উইংয়ে তলব করে শুনানী গ্রহণ করেন। শুনানী শেষে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারের (ইটিপি) নির্মাণ ব্যাতিত কারখানা পরিচালনা করে ও দুর্গন্ধ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত তরল বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে জনজীবন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় গাজীপুরের সি.পি বাংলাদেশ কোঃ লিঃ-কে ৫৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। এছাড়াও দূষিত তরলবর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষণের দায়ে নারায়নগঞ্জের আকবর ডাইংকে ১ লাখ ৩৩ হাজার ও কেরানীগঞ্জের ইডেন ওয়াশকে ১ লাখ ৪৪ হাজার এবং শব্দ দূষণের দায়ে জাহেদা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। কারখানাগুলোকে ক্ষতিপূরণ আরোপের পাশাপাশি অতিস্বত্ত্বর ইটিপি নির্মাণ করে কারখানা পরিচালনা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এর আগে মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট টিম ওইসব এলাকার ওয়াশিং ও ডাইং কারখানা এবং পোল্ট্রি ফার্মসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।