প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান পেল আইসিসি

মনোহরেরহাতধরে নতুন যুগ শুরু হচ্ছে আইসিসিতে।আইসিসির চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াবেন বলে দুদিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। শশাঙ্ক মনোহরের ইচ্ছেটা পূরণ হলো। তবে ঠিকভাবে দাঁড়াতেও হলো না, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হলেন মনোহর।গত নভেম্বরে এন শ্রীনিবাসন অপসারিত হওয়ার পরই অবশ্য আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মনোহর। দায়িত্ব নিয়েই আইসিসির গঠনতন্ত্রে বদল এনে তিন মোড়ল নীতি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। গত ফেব্র“য়ারির ওই পরিবর্তনে সঙ্গে এই ঘোষণাও দেওয়া হয়, এখন থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান হবেন পুরোপুরি স্বাধীন। কোনো দেশের বোর্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ আইসিসি চেয়ারম্যান হতে পারবেন না।

এই নিয়ম মেনেই দুই দিন আগে বিসিসিআই থেকে সরে গিয়েছিলেন মনোহর। আজ হয়ে গেলেন আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান। এই পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্য কেউ ছিলেন না। আগামী দুই বছর অবৈতনিক এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন ৫৮ বছর বয়সী ভারতীয় আইনজীবী।কিছুক্ষণ আগে আইসিসির বিবৃতিই দিল এই ঘোষণা, মনোহরই ছিলেন চেয়ারম্যান পদে একমাত্র মনোনীত ব্যক্তি এবং বোর্ডও সর্বসম্মতভাবে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে থাকা স্বাধীন নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান আদনান জাইদি তাই মনোহরকে বিজয়ী ঘোষণা করে পুরো প্রক্রিয়ায় সমাপ্তি টেনেছেন।

এতে নিশ্চিত হয়ে গেল, এন শ্রীনিবাসনের পর আবারও আইসিসির দায়িত্ব থাকছে একজন ভারতীয়র হাতেই। তবে শ্রীনিবাসনের ‘তিন মোড়লের নীতি’র যুগ থেকে বেরিয়ে মনোহরের আইসিসি আরও অনেক বেশি ক্রিকেট-উন্নয়নে অবদান রাখবে, এমনটাই বিশ্বাস ক্রিকেটপ্রেমীদের।নির্বাচিত হওয়ার পর মনোহরও শোনালেন নতুন দিনের আগমনী গান, সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে খেলাটাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া, আর সমর্থকদের একটা নতুন প্রজন্মকে খেলার সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত করা। খেলাটির অতীত ইতিহাস আর রীতি তো সব সময়ই অনেক গৌরবের, এবার ক্রিকেটের ভবিষ্যকেও আরও সুন্দর করে তুলতে আইসিসির সব পক্ষের সঙ্গে মিলে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।কোনো বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, এ জন্যই তাঁকে স্বাধীন চেয়ারম্যান বলা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত স্বাধীন থাকতে পারবেন তো মনোহর?