মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি রায় কার্যকরে জল্লাদদের টিমে থাকছেন জল্লাদ রাজু। তাকে কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কারাগার থেকে আনা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর তিনটায় রাজুকে আনা হয় এ কারাগারে। কারারক্ষীদের প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে করে এনে রাজুকে কারাগারের ভেতরে নেওয়া হয়েছে।
কারা বিধি অনুসারে, একটি ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সাতজন জল্লাদ অংশ নেন। তাদের প্রধান থাকেন একজন এবং সহযোগী জল্লাদ থাকেন ৬ জন। এখন পর্যন্ত জল্লাদদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা না হলেও জল্লাদ রাজুর নেতৃত্বে নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
কারা সূত্র জানায়, রায় কার্যকর করতে জল্লাদ রাজুর সঙ্গে আরও নয় জল্লাদকে নিয়ে টিম করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন জল্লাদ সাত্তার, আবুল, হযরত, রনি, ইকবাল, মাসুদ, মুক্তার, আব্দুল ওহাব ও ওমর আলী শেখ। এখন পর্যন্ত জল্লাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা না হলেও জল্লাদ রাজুর নেতৃত্বে নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরের সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে কারা সূত্র। কোনো কারণে রাজু নেতৃত্ব দিতে না পারলে আবুল, হযরত বা সাত্তার এ সুযোগ পাবেন।
গত বছরের ২১ নভেম্বর রাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকরেও ছিলেন রাজু জল্লাদ। জল্লাদ সর্দার শাহজাহানের নেতৃত্বে ওই টিমে আরও ছিলেন জনি জল্লাদ। কারা সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে জল্লাদ শাহজাহান, রাজু ও জনি অন্যদের চেয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তবে শাহজাহানের বয়স বেশি হওয়ায় এবার তিনি নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরে থাকছেন না। জল্লাদ জনি অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।