বগুড়ায় গ্রেনেডে নিহত একজন ছিলেন জেএমবির সামরিক প্রধান

বগুড়ার শেরপুরে জেএমবি’র আস্তানায় বোমা তৈরীর সময় নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গীর পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ঘটনার ১ মাস পর পুলিশ পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তার নাম রাইসুল ইসলাম খান ওরফে ফারদিন। সে জেএমবি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক শাখা প্রধান ছিলো। পুলিশ তার স্ত্রী জেএমবি সদস্য মাছুমা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে। গত ৩ এপ্রিল শেরপুর উপজেলার কুঠির বাড়ি গ্রামে আস্তানায় বোমা বানানোর সময় জেএমবি’র ২ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম জুয়েল নামে এক জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর জনের পরিচয় অজ্ঞাত ছিলো।

পুলিশ জানায়, ফারদিন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বোমা তৈরীতে সুদক্ষ ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই সে জেএমবিতে যোগ দেয়। সে চট্টগ্রামের আলোচিত ন্যাংটা ফকির হত্যা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেনেড মেরে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মুল হোতা। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আরেক জঙ্গী মোস্তাফিজার ওরফে বোমা শাকিলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর সে শাকিলের ছোট বোন মাছুমা খাতুনকে ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলো। ফারদিনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর এবিষয়টি জানাতে রবিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং’র আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পুরো বিষয় তুলে ধরেন।

শনিবার রাতে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়া গ্রাম থেকে মাছুমা বেগমকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ ফারদিনের পরিচয় নিশ্চিত হয়। মাছুমা পুলিশের নিকট ফারদিনকে তার স্বামী হিসাবে সনাক্ত করে। গ্রেফতারকৃত মাছুমাও জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। জেএসমবি এই অঞ্চলে আত্মীয়তার সর্ম্পক গড়ে তাদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।