বখতিয়ার আলম রনি

হরতালে কারাগার থেকে আদালতে আসামি না আনায় রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে এলোপাতাড়ি গুলি করে দুই চালক হত্যা মামলায় এমপিপুত্র বখতিয়ার আলম রনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামি ২৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হরতালের কারণে কারাগার থেকে রনিকে আদালতে না আনায় ও মামলার সাক্ষি না আসায় সময়ের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মাকসুদ।শুনানি শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামছুন নাহার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়ে ২৬ মে নতুন করে দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন একই আদালত।রনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পিনু খানের ছেলে।

২০১৫ সালের ২১ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস।চার্জশিটে রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত তার গাড়িচালক ইমরান ফকিরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে চার্জশিটে অব্যহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

চার্জশিটের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২১রাউন্ড তাজা গুলি, গুলি রাখার চার্জার, একটি রক্তমাখা গুলির অংশ বিশেষ, ভিকটিম আ. হাকিম ও ইয়াকুব আলীর ব্যবহৃত দু’টি লুঙ্গিসহ মোট ১৫টি আলামত আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।চার্জশিটে গাড়ি চালক ইমরান ফকির ও তিন বন্ধুসহ ৩৭ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে।চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে তিন বন্ধুসহ রনি শেলবারে মদ পান করেন। রাত সাড়ে ১১টায় শেলবার বন্ধ হয়ে গেলে তারা হোটেল সোনারগাঁওয়ে গিয়ে আরও ৯ হাজার ৫০০ টাকার মদ ও বিয়ার পান করেন। সেখান থেকে রাত দেড়টায় তারা বাসার পথে রওয়ানা দেন।

এমপি পুত্রের প্রাডো গাড়িটি করে তারা একযোগে রওনা হয়ে বাংলামোটর হয়ে মগবাজার যায়। সেখানে জাহাঙ্গীরকে নামিয়ে দিয়ে ফেরার সময় নিউ ইস্কাটন রোডে ট্রপিক্যাল হোমসের নির্মানাধীন এলএমজি টাওয়ারের সামনে তারা জ্যামে পড়লে রনি তার পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলির শব্দে মুহুর্তের মধ্যে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যায়।এ সময় রনির ছোঁড়া গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজি চালক ইয়াকুব আলী ও জনৈক রিকশাচালক আ. হাকিম মারা যান।এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।