
মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (আইএসএ) এর অধীনে গত এপ্রিলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন, রাহমান মিজানুর (৩১), মামুন লিয়াকত আলি (২৯), সোহাগ ইব্রাহিম (২৭), মিয়া রুবেল (২৬), জামান দৌলত (৩৪), ইসলাম শরিফুল (২৭), মো.জাবাত কায়সার হাজী নুরুল ইসলাম সওদাগর (২৯) ও সোহেল হাওলাদার ইসমাইল ইসমাইল হাওলাদার ( ২৯)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আটকৃতদের মধ্যে মিজানুর সিঙ্গাপুরের এস-পাস হোল্ডার। বাকিরা ওয়ার্ক পারমিট হোল্ডার। এরা সবাই স্থানীয় নির্মাণ ও সামুদ্রিক শিল্পে কাজ করছেন।
চ্যানেল নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মার্চে মিজানুর ইসলামিক স্টে ইন বাংলাদেশ (আইএসবি) নামে একটি গোপন সংগঠন গঠন করে। আটককৃতরা সবাই ঐ সংগঠনের সদস্য। তারা আইএসে যোগদানের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা বুঝতে পারে সিরিয়ায় যাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে তাই দেশে ফিরে শক্তি প্রয়োগ করে ‘সরকারকে উত্খাত’ করার দিকে মনোযোগ দেয় তারা।
আটককৃতদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট গঠন করে একে স্বঘোষিত ‘আইএসআইএস’র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তদন্তে দেখা গেছে, সংগঠনটি বাংলাদেশে কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করছিল। মিজানুর থেকে পাওয়া ‘উই নিড ফর জিহাদ ফাইট’ শিরোনামের একটি ডকুমেন্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা রয়েছে, যারা তাদের হামলার লক্ষ্য হতে পারত।
মিজানুরের কাছ থেকে আরো ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়। সেখানে অস্ত্র ও বোমা বানানোর নথি ছিল। এছাড়াও আইএসআইএস ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ছিল। আর এগুলোর মাধ্যমে মিজানুর গত জানুয়ারি থেকে সিঙ্গাপুরে আইএসবি’র সদস্য সংগ্রহ করছিলেন।
ঐ গ্রুপের সদস্যরা সিঙ্গাপুরে কর্মরত আরো বাংলাদেশিদের সদস্য বানানোর পরিকল্পনার করছিল। এছাড়া তহবিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনে বাংলাদেশে হামলার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। আটক করার পর তাদের কাছ থেকে অর্থ জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।