প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আল বদর ও তাদের সহযোগীরা পাক সেনাদের সহায়তা না করলে তারা এদেশে দুই মাসও টিকতে পারত না।
মঙ্গলবার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ আবেদনের শুনানির এক পর্যায়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিচারের নামে তামাশা চাই না। কারণ এই মানবতবিরোধী অপরাধের বিচার সারাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করছে। এজন্য সকল আইনি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এবং যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়, সে বিষয় লক্ষ্য রেখেই বিচার করা হচ্ছে।
আদালতে নিজামীর পক্ষে শুনানিতে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মূল হোতাদের ছেড়ে দিয়ে ৪০ বছর পর চুনোপুঁটিদের বিচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবেই এই বিচার করা হচ্ছেএরপর প্রধান বিচারপতি তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যে নৃশংসতা হয়েছে, সেটিকে কসোভো ও যুগোশ্লোভিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নৃশংসতার সঙ্গে তুলনা করতে হবে।আদালতে নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, মতিউর রহমান নিজামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু যেসব অপরাধের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তিনি এগুলো করেছিলেন কি না সেটা বিবেচ্য। ওই সময় (মুক্তিযুদ্ধকালে) নিজামীর বয়স, অবস্থান ও ক্ষমতার সক্ষমতার বিচারে তিনি কতটুকু অপরাধ করতে পারেন, সেটিও বিবেচ্য বিষয়।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি (নিজামী) মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, এটি কি তার অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়? জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য দালাল আইনে তার বিচার হচ্ছে না। বিচার হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য।’