rice-doinikbarta

সরকার এ বছর কৃষকদের কাছ থেকে সাত লাখ টন ধান ও ছয় লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধান প্রতি কেজি ২৩ টাকা দরে ও চাল প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে কেনা হবে। রোববার সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারণ ও মূল্যায়ন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।গত বছর সরকার ১ লাখ টন ধান ও ১০ লাখ টন চাল কিনেছিল সরকার। সে বছর ধান ২২ টাকা ও চাল ৩২ টাকা দরে কেনা হয়চলতি বছর বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২৩ টাকায় ধান কেনার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকারকৃষক পর্যায়ে ধানের দাম কেজিতে এক টাকা বাড়লেও সরকার চাল কিনবে গতবারের সমান দামে। আগামী ৫ মে থেকে ৩১ অগাস্ট সরকারিভাবে এই ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। রোববার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবার মোট ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ মেট্রিক টন হবে ধান, বাকিটা চাল।

ধান-চাল সংগ্রহে এবার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। কৃষকদের সরাসরি প্রণোদনা দিতে এবং ফরিয়াদের দৌরাত্ম কমাতে বেশি করে ধান সংগ্রহ করা হবে।গত মৌসুমে এক লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনা হলেও এবার ‘কৃষকের কাথা মাথায় রেখে’ ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে বলে জানান কামরুল।গত মৌসুমে ২২ টাকা কেজিতে এক লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৩২ টাকায় ১০ লাখ টন চাল কিনেছিল সরকার।এবার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে কামরুল বলেন, চাল কেনা হবে মিল মালিকদের কাছ থেকে।

মন্ত্রী জানান, এ বছর প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা। আর এক কেজি চালের উৎপাদন খরচ ২৯ টাকা। সোমবার খাদ্য ভবনে বৈঠক করে চলতি মৌসুমের ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার যে নির্দেশনা থাকবে, তাতে আমাদের প্রশংসাই করবেন বলে আমরা মনে করছি।কামরুল জানান, সরকারি গুদামে বর্তমানে ১১ লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য মজুদ আছে। এসব গুদামের ধারণ ক্ষমতা ২০ লাখ মেট্রিক টন।সেক্ষেত্রে ১৩ লাখ টন নতুন খাদ্যশষ্য কেনার পর সংরক্ষণে সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল তো এক দিনেই কিনছি না। প্রতিদিনই গোডাউন থেকে কমছে। অন্যদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।