ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বাদে এ দেশে সবাই খুন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। তবে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরাও প্রতিনিয়ত খুন হচ্ছেন বলেও জানান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী খুন হওয়ার পর নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এমন প্রতিক্রিয়া জানান ইমরান। ফেসবুকে ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন, আবারো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক খুন! কে হচ্ছে না খুন? বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, স্কুল ছাত্র, কলেজ ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, গৃহকর্মী, লেখক, প্রকাশক, মুয়াজ্জিন, পুরোহিত? কে বাদ আছে? যখন সকলেই অনিরাপদ তখন ড. রেজাউল করিম সিদ্দিকী ধর্ম প্রচারক ছিলেন নাকি উদার মানসিকতার ছিলেন, এটা ফালতু আলোচনা। এটা শুধুমাত্র সরকারেরই প্রয়োজন হতে পারে আমাদের মতো বোকা নাগরিকদের বিভক্ত করার কাজে। ধর্ম প্রচারক হলে স্ক্রিপ্টে লেখা হবে জঙ্গি আর উদার হলে নাস্তিক, দায়দায়িত্ব শেষ! তিনি আরো লিখেন, একটু ভেবে দেখলাম, এদেশে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাদে (কর্মীরাও খুন হচ্ছে) সবাই খুন হচ্ছে। এমনকি ক্ষমতাসীন নেতা-নেত্রী ও তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বাইরে অন্য কোনো ঘটনার বিচারও হচ্ছে না। বলা চলে, অন্যকোনো ঘটনার দায়-দায়িত্বও সরকার নিচ্ছে না! বরং এসব ঘটনায় বিচার প্রার্থীদের গুম, খুন করা থেকে শুরু করে হেন কোনো অপপ্রচার নেই, যা তাদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে না। যাইহোক, বিচার চেয়ে তো এদেশে কোনো লাভ নাই, খুন-ধর্ষণ-লুটপাটের বিচার চাইলে পুরস্কার হিসেবে পাই আনফ্রেন্ড আর প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি। আমরা কি তাহলে বিচার চেয়ে সরকারকে বিব্রত করা বন্ধ করে দেব? নাকি সবাই মিলে সরকারের দিকে আঙুল তুলে বলবো, আপনারাই রেজাউল করিম সিদ্দিকীর খুনি। তার লেখা এ স্ট্যাটাসের এক কমেন্টসে ইমরান লিখেন, সবাই যখন মারা যাচ্ছে তখন কি চুপ থেকে বাঁচা যায়? মারা যখন যেতেই হবে, শব্দ করেই মরি। কি বলেন সবাই?
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ৭টার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে খুন করা হয়। খুনের উদ্দেশ্য কিংবা খুনিদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে সন্দেহ জঙ্গি সম্পৃক্ততার। স্বজনরাও এ শিক্ষককে হত্যার কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না।