চীনে রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
চীনের জিনঝিয়াং নগরীর একটি স্থাপনায় ১৬ ঘন্টা আগে শুরু হওয়া অগ্নিকা-ের আগুন শনিবার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। একটি বিস্ফোরণের পর এ অগ্নিকা- শুরু হয়। ওই স্থাপনাটিতে রাসায়নিক ও জ্বালানী সামগ্রী মজুদ রাখা হতো।রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা বলেছে। শুক্রবার সকালে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে বায়ু দূষণের আশঙ্কা দেখা দেয়। বিস্ফোরণটির প্রচ-তা গত আগষ্ট মাসে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় নগরী তিয়াজিনের রাসায়নিক গুদামের ভয়াবহ বিস্ফোরণে কথা মনে করিয়ে দেয়।ওই ঘটনায় অন্তত ১৬৫ জন প্রাণ হারায়।রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া শনিবার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জিনঝিয়াংয়ের বিস্ফোরণে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, জিয়াংসু ডিকিয়াও স্টোরেজ নামের একটি কোম্পানীর প্রাঙ্গণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এখানে ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক ও জ্বালানী রাখা হতো। জিয়াংসু ডিকিয়াওয়ের মূল প্রতিষ্ঠানের নাম হেঙ্গিয়াং পেট্রোকেমিক্যাল লজিস্টিক।

হেঙ্গিয়াং পেট্রোকেমিক্যাল লজিস্টিক সিঙ্গাপুরের একটি তালিকাভূক্ত কোম্পানি। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। অনলাইনে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিও ফুটেজে প্রকা- কালো ধোঁয়ার কু-লী দেখা গেছে। জন নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দমকল বিভাগ এর মাইক্রোব্লগে বলেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৪০০ দমকল কর্মী পাঠানো হয়েছে। সিনহুয়া আরো জানায়, দমকল কর্মীদের অনেককে পার্শ্ববর্তী সাংহাই, নানজিং, নানটোং, সুঝোউ ও উক্সি থেকে পাঠানো হয়েছে। প্রচন্ড এই বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাসায়নিক গুদামটির জিনিসপত্র চারপাশে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছাতে দমকল কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। চীনের শিল্প অঞ্চলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির কারখানাগুলোতে নিরাপত্তার মান প্রায়ই লংঘন করা হয়।