বাই-ভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হচ্ছে শনিবার

ট্রাই-ভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের পরিবর্তে বাই-ভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করবে বিশ্বের সব দেশ। আগামী শনিবার এই বাই-ভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হবে।বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।ইপিআই প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক হাবিব আবদুল্লা সোহেল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওপিভি ব্যবহারকারী সব দেশ সমন্বিতভাবে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ট্রাইভ্যালেন্ট ওপিভি ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে তার পরিবর্তে বাইভ্যালেন্ট ওপিভি টিকা ব্যবহার শুরু করবে। বাইভ্যালেন্ট ওপিভি টিকা আগের মতো একই নিয়মে শিশুদের মুখে দুই ফোঁটা খাওয়াতে হবে। বাইভ্যালেন্ট ওপিভি ভ্যাকসিনে টাইপ-১ ও টাইপ-৩ রয়েছে।

তিনি বলেন, টাইপ-১, টাইপ-২ ও টাইপ-৩ পোলিও ভাইরাসের এই তিনটি টাইপ থেকে পোলিও হতে পারে। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও পোলিও টাইপ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ টাইপ-২ পোলিও ভাইরাস ইতোমধ্য পৃথিবী থেকে নির্মূল হয়ে গেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল সার্টিফিকেশন কমিশন ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে বিশ্ব থেকে টাইপ-২ পোলিও নির্মূল হয়েছে বলে ঘোষণা করে বলেও জানান সোহেল।তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে যখন পোলিও রোগ নির্মূল হবে, তখন পোলিও টিকা খাওয়ানো বন্ধ করা হবে। তবে বর্তমানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লা সোহেল বলেন, ১০টি রোগের জন্য ১১টি টিকা দেয়া হয় শিশুদের। এতে বছরে সাড়ে সাতশো কোটি টাকা খরচ হয়। ২০১৯ সাল থেকে ওরাল পোলিও আর ব্যবহার হবে না।সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১২ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘দি পোলিও ইরাডিকেশন এন্ড এনডগেম স্ট্র্যাটেজিক প্লান ২০১৩-২০১৮’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকৌশল প্রস্তুত করে যার মূল উদ্দেশ্যে হলো বিশ্বকে সম্পূর্ণভাবে পোলিও মুক্ত করা। ১৯৮৮ সালে সারা বিশ্ব পোলিও নির্মূল কার্যক্রম শুরু করার পর বিগত দুই দশক ধরে এই কার্যক্রম সফলভাবে চলছে এবং এর ফলে সারা বিশ্ব পোলিও রোগীর সংখ্যা শতকরা ৯৯ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।