TANORE  Rice PHOTO 19-04-2016

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আগাম ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। উপজেলায় সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন ধানের শীষের সোনালী রংঙের বর্ণিল ছোঁটার সমারহ। যতদূর চোখ যায় শুধু সোনালী রঙের চোখ ধাঁধানো দৃশ্য। মাঠ জুড়ে সোনালী রঙ বলে দিচ্ছে গ্রামবাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা বোরো ধানের আবাদ। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভাল ফলনের বুকভরা আশা করছে উপজেলার কৃষকরা। কিন্তু কৃষকরা বলছেন কৃষিশ্রমিক সংকট প্রকট হওয়ায় মাঠে মাঠে সোনালী রঙের পাকা ধান পুরোদমে কাটা-মারাই শুরু করা যাচ্ছে না। বাজারে নতুন ধানের আমদানি হওয়ায় টুকটাক কেনা বেচা শুরু হলেও হঠাৎ করে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়া ও দাম নিয়ে শঙ্কায় আছে মাঠ পর্যায়ের চাষিদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ কর হয়। কিন্তু সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধানের দাম আশানোরুপ না থাকায় কৃষকরা বোরো চাষে আগ্রহ হারিয়েছে। একারণে কৃষি বিভাগের লক্ষ্য পুরণ হয়নি। কৃষকের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলার কৃষকরা ভাল ভাবে ধান চাষ করেছে। নতুন ধান কাটার শুরুতেই কেজির ওজনে বিঘা প্রতি ২০/২২ মন হারে ধান উৎপাদন হচ্ছে। ধান কাটার শ্রমিক সংকট প্রকট হওয়ায় স্থানীয় চাষিরা পাকা ধান ঘড়ে তুলার লক্ষ্যে শ্রমিকদের চড়া মজুরী দিয়ে ধান কাটা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার চাপড়া গ্রামের কৃষক মাওলানা মোসলেম উদ্দীন জানান, তিনি এবছর ১০বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ যথা সময়ে ভাল পরিচর্যা করায় তার জমিতে ধান ভাল হয়েছে। তবে বাজার দর ভাল থাকলে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে কিছুটা লাভ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।উপজেলার তালন্দ হাঠের ধান ব্যবসায়ী বানী জানান, হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা কেনা হচ্ছে জিরা জাতের ধান প্রতিমন মান ভেদে ৬৭০ থেকে ৬৯০টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধান ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে ধান পেঁকে যাওয়ায় চাষিরা আগাম কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন। কিন্তু শ্রমিক সংকটের বিষয়টা এঅঞ্চলের পুরনো সমস্যা বলে জানান তিনি।#