পাবনায় আ.লীগের তৃণমূল ভোটে বোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি

পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের তৃণমূল পর্যায়ের ভোট পন্ডু হয়ে গেছে গুলিবর্ষন, ভাঙচুর, বোমাবাজির কারনে। মঙ্গলবার দুপুরে মালিগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পূর্বে আলোচনা সভায় এই ঘটনা ঘটে। ভোট ভন্ডুল হওয়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক সভাপতি গ্র“প একে অপরকে দায়ী করেছেন। স্থানীয়বাসিন্দারা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে মালিগাছা ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের কতিপয় নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো বেশ কিছুদিন ধরে। মঙ্গলবার দুপুরে টেবুনিয়া বাজারের মালিগাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিস প্রাঙ্গনে দলের তৃণমূল পর্যায়ের ভোট শুরুর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উম্মাত আলী আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য সভাস্থলে লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন। মাইকে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলছিল। এমন সময় সভাস্থলে অতর্কিত ৪/৫টি বোমা বিস্ফোরণ ও ৮/১০ রাউ- গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে নেতাকর্মীরা ভয়ে দিগি¦দিক ছুটাছুটি করতে থাকে। মুহুর্তের মধ্যে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় আতংকে।

পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন জানান, তৃণমূল পর্যায়ের ভোট শুরুর আগে আলোচনা চলার সময় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রুহুল আমিন ও সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদ শরীফ ডাবলুর নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি দল সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, বোমাবাজি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলি হয় বলেও তিনি জানান। মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, এসময় দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকরা প্রানভয়ে এদিক সেদিক ছোটছুটি শুরু করেন। ফলে তৃণমূল ভোট গ্রহন সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি খন্দকার আহমেদ শরীফ ডাবলু অভিযোগ করে বলেন, থানা আওয়ামী লীগ নেতারা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে বিএনপি সমর্থিত উম্মাত আলীর প্রতি সমর্থন দেয়ায় এবং তৃণমূল ভোটে তাকে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেওয়ারা পাঁয়তারা করছিলো। এ সময় তার সমর্থিতরা এর প্রতিবাদ করলে উম্মাত সমর্থিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ডাবলু আরও বলেন, গত নির্বাচনেও উম্মাত আলী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাপক অনিয়ম ও মার্কেট তৈরীর নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজের অবস্থান নষ্ট করে আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে উঠাবসা শুরু করেন তিনি। নির্বাচনী তপশীল ঘোষণার পর কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতার যোগসাজসে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করে মনোনয়নের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমরা জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের এই অনিয়ম ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে এই প্রার্থী নির্ধারনের এই অন্যায় কর্মকা- যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবো।