আল-কায়েদার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেন অন্তত ৮ হাজার বাংলাদেশীকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সে সব জঙ্গিরা এখন বাংলাদেশে। এতে করে সন্ত্রাসী হামলা চরমে পৌঁছেছে।গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে বিদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ সব তথ্য তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, যেটি শুক্রবার প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’।
ভারতীয় ওই পত্রিকার ভাষ্যে, হাসানুল হক ইনু দাবি করেছেন, সামরিক স্বৈরাচারী বাহিনী, দেশীয় সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের মধ্যে একটি শক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে। আর এদের সবার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশে বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলার শংকা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, গণহারে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে সরকার সফল হয়েছে।’সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংবিধানের সীমার মধ্যেই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় বাংলাদেশ থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।এ ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সারা জীবন আমি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়েছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম এবং ১০ হাজার গেরিলা যোদ্ধাদের একটি ব্যাটালিয়নকে নেতৃত্ব দিয়েছি। বাংলাদেশে আমরা সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করবই।তবে একের পর এক ব্লগার ও সেক্যুলার অ্যাক্টিভিস্টদের হত্যা করা হলেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে স্বীকার করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা নিজ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে লোন উলফ স্টাইলে ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্টদের হত্যা করছে। এ কারণে তাদের হামলা সম্পর্কে সরকার আগে আঁচ করতে পারছে না।তিনি আরও বলেন, কেউই পুরোপুরি নিরাপদ- এটা বলা সম্ভব নয়। তবে ব্রাসেলস ও প্যারিসে যে ধরনের হামলা হয়েছে, সেটি যেন সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে চালাতে না পারে, তা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি।দ্য হিন্দু জানায়, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে দৃশ্যত বিরোধ থাকলেও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে সহযোগিতা করে এবং আলোচনার দরজা খোলা রাখে।