ভূমিকম্পে হেলে পড়া নয়টি ভবন বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিন সদস্যের কমিটি। পরিদর্শনকালে তাঁরা হালিশহর বি-ব্লকের দুটি ভবন ভেঙে ফেলার জন্য মালিককে নির্দেশ দেন।অবশিষ্ট ভবনগুলোর কারিগরি ত্র“টি ও বর্তমান অবস্থা নিরূপণ এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য আগামী রোববার প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে আরও একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের সুপারিশের চিন্তা-ভাবনা চলছে। বুধবার চট্টগ্রামসহ সারা দেশে প্রবল ভূকম্পনের পর সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম তাত্ক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করেন। ভূকম্পন-পরবর্তী হেলে পড়া ভবনের বর্তমান অবস্থা এবং করণীয় নির্ধারণে গঠিত এই পরিদর্শন কমিটির প্রধান করা হয়েছে সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীনুল ইসলাম খানকে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন দুই কর্মকর্তা মো. শামীম ও মো. ইলিয়াছ।
তিন সদস্যের কমিটি আজ সকাল থেকে নগরের চান্দগাঁও, হালিশহর, জুবিলি রোড, আমতলাসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পে হেলে পড়া ভবনের স্থিরচিত্র ধারণ করেছে। পাশাপাশি ভবনগুলোর নির্মাণগত ত্রুটির বিষয়গুলোর খোঁজ খবর নেয়।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান মো. শাহীনুল ইসলাম খান বলেন, নয়টি ভবনই কম- বেশি হেলে পড়েছে। আবার এদের বেশির ভাগই সিডিএর নির্ধারিত নির্মাণ বিধিমালা মানেনি। হালিশহর বি-ব্লকের পাশাপাশি দুটি সাততলা এবং ছয়তলা ভবন পরস্পরকে এক ইঞ্চি জায়গাও ছেড়ে দেয়নি। ওই ভবন দুটি আমরা ভেঙে ফেলার জন্য মালিককে নির্দেশ দিয়েছি। যদি ভাঙা না হয় তাহলে সিডিএ ব্যবস্থা নেবে। মো. শাহীনুল ইসলাম খান আরও বলেন, পরিদর্শনসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এবং সুপারিশমালা আমরা রোববার দেব। এতে প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে আরও একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের সুপারিশ থাকবে।উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে সারা দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯৯। ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে নগরের বিভিন্ন স্থানে নয়টি ভবন হেলে পড়ার কথা জানা যায়। নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় একটি ভবন প্রায় এক ফুট পর্যন্ত হেলে পড়ে। রাতেই সিডিএ চেয়ারম্যান ওই ভবনটি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন।
কমিটির সদস্য মো. শামীম বলেন, ভবনগুলো আমরা সকাল থেকে পরিদর্শন করে এগুলোর নির্মাণ ত্রুটি এবং হেলে পড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। হালিশহরের দুটি ভবন লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নয়টির মধ্যে বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে লোকজন এখন নেই। তবে আবাসিক ভবনগুলোতে কিছু কিছু লোকজন রয়েছে। এ বিষয়ে রোববার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।