asaduzzaman

নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী গড়ে তোলা ছাড়াও সীমান্তের যেখানে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির ক্যাম্প নেই ওইসব স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হবে জানিয়েছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।বুধবার সকালে রাজধানীর বিজিবির সদরদপ্তর পিলখানায় কমান্ডারদের কনফারেন্সে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।দুর্গম সীমান্তে টহলের জন্য বিজিবিকে হেলিকপ্টার দেয়া হবে জানিয়ে এসময় তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যান্য বাহিনীর মত বিজাবির শীর্ষপদে র্যা ঙ্কের পরিবর্তন আনা হবে।এছাড়া, সীমান্তে বিজিবির সহনশীলতার জন্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি।এসময় বিজিবির বিভিন্ন কার্যক্রম মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন বাহিনীর প্রধান।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে মোট ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রতিনিয়ত পাহারা দিয়ে চলেছে বিজিবি। তবে তাদের বিভিন্ন দুর্গম স্থানে যাতায়াতের ব্যবস্থা আরো ভালো হলে সীমান্তে নজরদারি আরো সহজ হতো।বিগত ২০০৯ এর ফেব্র“য়ারির কলঙ্কময় অধ্যায়কে পেছনে ফেলে উন্নয়নের ধারায় ফিরে আসায় বিজিবির প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যুক্ত হচ্ছে হেলি উইং (এয়ার উইং)। নতুন এ উইংয়ের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ৪টি হেলিকপ্টারও কেনা হচ্ছে।বিজিবির ঝুঁকিভাতা ২০০৭ সালে বাতিল করা হয়েছিল। সেই ভাতা নতুন করে কার্যকরের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বিজিবির প্রশংসা করে বলেন, অনেক সময় কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ও চোরাচালানের বিভিন্ন পণ্য দেশে ঢুকে পরলেও বিজিবির তৎপড়তায় সেগুলো ধরা পড়ে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়।’ বিজিবি কর্মকর্তাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাচ ও পদোন্নতির বিষয়টি বিবেচনাধীন বলে জানান মন্ত্রী।এর আগে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ গেল বছরের ডিসেম্বরেই এক সংবাদ সম্মেলনে এই নতুন উইংয়ের ঘোষণা দিয়েছিলনে।