রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য ও সংহতি আরো সুদৃঢ় করবে, অফুরন্ত আনন্দের বারতা বয়ে আনবে । বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন চিরন্তন ও সার্বজনীন। রাষ্ট্রপতি নববর্ষের এই আনন্দঘন দিনে দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।আবদুল হামিদ বলেন, বর্ষশেষে নতুনের বারতা নিয়ে বাংলা নববর্ষ বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হয়। বেজে উঠে আগমনি সুর। সে সুর নতুনকে বরণ করার, পুরাতনকে পেছনে ফেলে নব উদ্যমে আগামীকে আবাহন করার। বৈশাখ শুধু ঋতুচক্রের ধারাবাহিকতা নয় বরং বাঙালির হাজার বছরের শাশ্বত চেতনারই নাম। এটি মিশে আছে বাঙালির দৈনন্দিন কর্মে, চেতনায়, ঐতিহ্যে।

তিনি বলেন, মোগল সম্রাট আকবর ফসলি সন হিসেবে বাংলা সন গণনার সূত্রপাত করেন যা কালক্রমে বাঙালির ঐতিহ্যগত উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলা সন গণনার সঙ্গে যেমন ফসল ও মৃত্তিকার ভাবনা জড়িয়ে আছে তেমনি এর সাথে মিশে আছে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য।
আবদুল হামিদ বলেন, শুধু সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও বাংলা নববর্ষ উৎসবের কোনো তুলনা নেই। সারাদেশে পহেলা বৈশাখের পূর্বে চৈত্রসংক্রান্তি থেকে দেশের নানাস্থানে শুরু হয় বৈশাখি মেলা, হাট, আড়ংসহ নানা আয়োজন। বৈশাখি মেলাগুলোতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পজাত পণ্যের যে বিপুল বেচাকেনা হয়, তা জাতীয় অর্থনীতিকে বেগবান করার পাশাপাশি মানুষের মাঝে মৈত্রী ও সম্প্রীতি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলা নববর্ষ-১৪২৩ সবার জন্য শুভ ও কল্যাণকর হোক।