সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী ৩০মে’র পর বর্ষা মৌসুমে গত বছরের মতো ঢাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।সরকার শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট সমাধানে ও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,আগামী বছরে এদু’টি সমস্যার একটিও থাকবে না।এলজিআরডি মন্ত্রী রাজধানীর পানি সংকট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশি¬ষ্ট সংস্থা এবং দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করার নির্দেশ দেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বুধবার সচিবালয়ে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে‘বর্ষা মৌসুমে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃমন্ত্রণালয়’ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ নির্দেশ প্রদান করেন।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক এবং সংশি¬ষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।মন্ত্রী বলেন,ঢাকার অনেক খাল জবরদখল হয়েছিল। এ কারণে ঢাকার রাস্তার পানি স্বাভাবিকভাবে সরতে পারতো না। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। এ বছর আমরা জবরদখল হওয়া খালগুলোর অধিকাংশই দখলমুক্ত করেছি। বাকি খালগুলো এক বছরের মধ্যে দখলমুক্ত করা হবে। ফলে আগামী বছর আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট সম্পর্কে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, আমরা আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে এতো বেশি পানি ব্যবহার করে ফেলেছি যে, পানির লেভেল বিপদসীমার নিচে চলে গেছে। সারা দেশে একই অবস্থা। এর কারণ হচ্ছে আমরা ৭০ ভাগ পানি আন্ডার গ্রাউন্ড লেভেল থেকে সরবরাহ করি। আর ৩০ ভাগ পানি সারফেস ওয়াটার লেভেল থেকে সরবরাহ করি। এই সিস্টেমকে রিভার্স করে দেয়া হবে।
এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৮/১০ বছরের মধ্যে পানির স্তর আগের লেভেলে চলে আসবে। আর সুপেয় পানির সংকট থাকবে না। মন্ত্রী বলেন, সুপেয় পানি পাওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। কিছু অসাধু চক্রের কারণে পানির সংকট তৈরি হয়। তারা পানি বিক্রি করে সংকট তৈরি করে। মন্ত্রী ওয়াসাকে ঢাকাবাসীর ঘরে ঘরে পানি সরবরাহের নির্দেশ দেন।খুব শিগগিরই পানির সংকট কেটে যাবে উলে¬খ করে মন্ত্রী বলেন, পানির সংকটের কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সমাধানও ঠিক করা হয়েছে। পানির সোর্স বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন,আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে এসব সংকট কেটে যাবে।