ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন-বিআরটিস’র জন্য ৬শ’ বাস, ৫শ’ ট্রাক এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।মন্ত্রী আজ মতিঝিলের বিআরটিসি ভবনে বিআরটিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ বিআরটিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডিপো ম্যানেজারবৃন্দ।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থের অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)’র ২১ টি ডিপো। আর এই ডিপোই দুর্নীতির এক মাত্র কেন্দ্র স্থলে পরিণত হয়েছে। ডিপোর দুর্নীতির মূল হোতা হচ্ছে ডিপোর ম্যানেজার। দুর্নীতি দূর হলেই বিআরটিসি’র উন্নতি হবে। ডিপো ম্যানেজারদের কর্মকান্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, অর্থের অভাবে ডিপোগুলোতে বাস মেরামত করা যাচ্ছে না, এ খবর মন্ত্রী জানতেন না। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে এটাতো প্রত্যাশিত নয়। এতো খাটাখাটি করছি কিন্তু রেজাল্ট পাচ্ছি না। জনগণ যদি রেজাল্ট না পায়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের শুদ্ধতা থাকে না।
মন্ত্রী কমলাপুর ডিপো ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আনিত একটি আভিযোগ পাঠ করে শুনান। মন্ত্রী এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য বিআরটিসি’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। যদি তদন্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হয় দুদক দিয়ে তদন্ত করাবেন বলে মন্ত্রী জানান। এ ধরনের দুর্নীতির সকল দায়ভার আমার ওপরে বর্তায়। এটা আমি হতে দিতে পানি না। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বিআরটিসি বাসের অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন ও অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনেক গাড়িতে ফ্যান, লাইন নেই। মহিলাদের উঠতে দেয় না। সকালের দিকে দু’একটি টিপ দিয়ে বিকেলে ইজারাদারদের হাতে তুলে দেয় ডিপো ম্যানেজাররা। সব সমস্যা ডিপোর মধ্যে। এটা হতে দেয়া হবে না। কেউ বিআরটিসিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করলে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। মন্ত্রী কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় দুটি বিআরটিসি বাস দেয়ার জন্যও চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।