রাজধানীতে কাঁচা চামড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চামড়া নষ্ট ও বহু চামড়া দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা।নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও হাজারীবাগ থেকে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে ট্যানারি স্থানান্তরে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের ২০ একর জমি বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও হাইড অ্যান্ড স্কিন রি-টেইল ডিলার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্যানারির মূল উপাদান চামড়া আমরা যোগান দেই। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সারাদেশ থেকে চামড়া আসতে পারছে না।সরকার নিষেধাজ্ঞা সাময়িক তুলে নিলেও পুলিশের কাছে সে নির্দেশনা পৌঁছেনি। ফলে পুলিশ চামড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এতে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সারাদেশে প্রায় ৩৫ হাজার পশু জবাই হয়। এর সিংহভাগ চামড়াই ঢাকায় আসে। নিষেধাজ্ঞার কারণে তৃণমূলের চামড়া আসতে পারছে না। এসব চামড়া আর কিছুদিন থাকলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।ট্যানারি স্থানান্তরে সরকারের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, আমরাও চাই ট্যানারি সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তর হোক। বাংলাদেশে বৃহত্তম ও কেন্দ্রীয় কাঁচা চামড়ার মার্কেট রয়েছে পোস্তা ও ওয়াটার ওয়ার্কস রোডে। এখান থেকে হাজারীবাগ কাছাকাছি হওয়ায় ট্যানারির মালিকরা সহজে চামড়া নিতে পারেন। সাভারে হওয়ায় এখান থেকে চামড়া নিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন মালিকরা। সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর পাশে আমাদের ২০ একর জায়গা বরাদ্দ দিলে সব কাঁচা চামড়া সেখানে চলে যাবে। এতে পরিবেশ দূষিত হবে না, ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটবে না।
এ নেতা আরো বলেন, ট্যানারি স্থানান্তর আরো এক বছরেও হবে না। সরকার ট্যানারি সরাতে ২৮ বার তাদের নোটিশ দিয়েছে, আমাদের একটিও দেয়নি। আমাদের কারণেও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। চামড়া শিল্পে আমাদেরও অবদান কম নয়।নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও সাভারে চামড়া শিল্প নগরীর পাশে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ একর জায়গা বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ সভাপতি মো. ইস্কাদার, রাশেদ খান উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান ফারুক, কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।