তানোরে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ.লীগের ৩ জনকে বহিস্কার
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের দল থেকে বহিস্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার এসব বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিস্কারের চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।তারই ধারাবাহিকতায় তানোর উপজেলায় যাদের আ.লীগ দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তারা হলেন, তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন ও উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এর আগে রোববার নগরীর লক্ষ্মীপুর দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব বিদ্রোহীদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, শুধু বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে যারা ভোট করবেন তাদেরও আওয়ামী লীগ করার সুযোগ থাকবে না। তাদেরকেও দল থেকে বহিস্কার করা হবে।তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আবদুল মতিন (নৌকা)। ওই ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন (আনারস) ও রফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

অন্যদিকে, উপজেলার চাঁন্দুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী হচ্ছেন মজিবুর রহমান (নৌকা)। সেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (আনারস)। জেলায় প্রথম দফায় এই দুই ইউনিয়নের তিনজন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিস্কার করলো জেলা আওয়ামী লীগ।বহিস্কার আদেশে উল্লেখ করা হয়, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। যা দলের আদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। আবার নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ফলে দলীয় প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড হিসেবে বিবেচিত। এসব বিবেচনায় বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।

এনিয়ে আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। দলের সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করে বিদ্রোাহী প্রার্থী বা তাদের পক্ষে যারা রয়েছেন তাদের আর আওয়ামী লীগ করার কোনো সুযোগ নেয়। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সঙ্গে যারা আছেন তাদের নামের তালিকা তৈরি জন্য প্রত্যেক উপজেলা কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।#