10আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢল নামে সর্বস্তরের জনতার।

শনিবার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বেদীতে যৌথভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশের মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অকুতোভয় বীর সেনানীদের প্রতি সর্বস্তরের জনতা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সময় বাড়ার সঙ্গে দীর্ঘ থাকে সাধারণ মানুষের ঢল। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন নাহার বলেন, দেখতে দেখতে ৪৫ বছর পেরিয়েছে বাংলাদেশের বয়স। আজকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। সব মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তাদের বিনিময়ে আজকে বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছি। সামনে অরও উন্নতি করবো।

সব শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সিআরপি থেকে অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধী শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এছাড়া সকাল ৭টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামসহ জাহাঙ্গীরনগর মহিলা ক্লাব, শিক্ষক সমিতি ও হলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, শ্রদ্ধা জানাই বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদদের প্রতি। তাদের বিনিময়েই আমাদের বাংলাদেশ। ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতের করাল ছায়া থেকে জাতীয় দিবস পেয়েছি। স্বাধীনতাকে আরও পরিপূর্ণ করতে শিক্ষিত সমাজের আরও সচেতন হতে হবে। দেশের মর্যাদা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি করতে হবে।

ভার্স পোশাক কারখানার কর্মী মোহাম্মদ খুরশেদ আলম বাইপাল থেকে এসেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি। আরও ভালোবাসি মহান মুক্তিযোদ্ধাদের। সব দিবসেই এখানে আসি।

শহীদ সম্মান জানিয়ে নানা শ্লোগানে মুখরিত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক,