আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান খান বলেছেন, অচিরেই স্থানীয় রাজাকার আলবদরদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে প্রতিটি উপজেলা ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের তালিকা তৈরি করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিতকরণ ও বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধীরা যেসব স্থানে গণহত্যা সংগঠিত করেছে সেসব স্থান সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার লক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
সভায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, যারা ১৯৭১ সালে রাজাকার ছিলেন, তাদের নামও মুক্তিযুদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। যথাযথ যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, জেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবু সুফিয়ান, বীরাঙ্গনা জাহানারা বেগম, নারীনেত্রী শিলা রায় প্রমুখ।