01ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই সরকারকে বিদায় করার একমাত্র পথ বল জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফেরাতে নেতা-কর্মীদের বুলেট উপেক্ষা করে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান তিনি। আজ দুপুওে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় তিনি বলেন, আমরা যদি একবার সাহস করে রাস্তায় নামি তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে লাখো মানুষের ঢল নামবে। ফলে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। সেমিনার, সভা-সমাবেশ করে কোনো লাভ হবে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রত্যাগত প্রবাসী দল আয়োজিত এক প্রবাসী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খন্দকার মাহবুব। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু একজন আইনজীবী হিসেবে আমি বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলা প্রত্যাহার চাই না, বিচারের সম্মুখীন হতে চাই। তবে একটা কথা, তার বিরুদ্ধে কেনো এসব মামলা হয়েছে? এক-এগারোর সময় থেকে এসব মামলা দেয়া শুরু হয়, আওয়ামী সরকারের সময়েও মামলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তারা ভুল করেছে। কেননা, মামলা দিয়ে তাকে নাস্তানুবাদ করা যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার মামলা-হামলা করে বিএনপিকে ধ্বংস করে দিতে চায়। সারা দেশে আমাদের ৫০ লক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সরকারের জুলুমের মধ্যে রয়েছেন। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন, তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার বিশ্ববাসীকে ধোকা দিতে চায়। তারা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায়, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফলে নৌকার জয়-জয়কার হয়েছে। অন্যদিকে, ধানের শীষের ভরাডুবি ঘটেছে অর্থাৎ দেশবাসীর কাছে বিএনপির কোনো জনপ্রিয়তা নেই। সরকার মনে করেছে, বিশ্ববাসী নির্বাচনের কারচুপির খবর জানতে পারবে না। কিন্তু দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে ধোকা দেয়া সম্ভব নয়।
জাতীয়তাবাদী প্রত্যাগত প্রবাসী দলের সভাপতি এস এম সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এম তরিকুল ইসলাম তারেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।