রাজধানীর উত্তরায় চুলার গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হয়ে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ির মালিক মির্জা দেলোয়ার আটক করেছে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক যুগান্তরকে জানান, গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়ির মালিক মির্জা দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার ভোরে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ির সপ্তমতলার একটি ফ্ল্যাটে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এখানে ভাড়া থাকতেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ।
বিস্ফোরণে শাহনেওয়াজসহ (৪৫) তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (৪০), ছেলে সারলিন (১৪), জারিফ (১১) ও জারান (১৪ মাস) দগ্ধ হন।
আগুনে শাহনেওয়াজের শরীরের ৯৫ শতাংশ, সুমাইয়া বেগমের ৯০ শতাংশ, সারলিনের ৮৮ শতাংশ, জারিফের দুই হাত ও দুই পা এবং জারানের ৭৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারলিন ও জারান মারা গেছেন।
শাহনেওয়াজের বড় ভাই মনিরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে নেওয়াজের স্ত্রী সুমাইয়া গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে যায়। এ সময় চারিদিকে গ্যাসের আগুন ছড়িয়ে পড়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যের সবাই দগ্ধ হন।
জানা গেছে, গত শনিবারই এই ফ্ল্যাটটিতে ওঠে ছিলেন শাহনেওয়াজ। তখন থেকেই গ্যাসের গন্ধ পেয়ে তারা বাড়ির মালিককে গ্যাস লাইন ঠিক করতে বলেছিলেন।
কিন্তু বাড়ির মালিক এতে ব্যবস্থা না নেয়ায় শাহনেওয়াজের পরিবারটি আগুনে পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
শাহনেওয়াজের বোন আরমিন নিশাত জানান, উত্তরার ওই বাসায় গত শনিবার উঠেন তার ভাই। তখন থেকেই তার ভাবি বলে আসছিলেন বাসা থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বাড়ির মালিককে ভাবি কয়েকবার বলেছেনও। কিন্তু মালিক গায়ে লাগাননি।
তবে বাড়ির মালিক মির্জা দেলোয়ার দাবি করেছেন, তিনি এ বাসায় থাকেন না। তারপরেও গ্যাসের গন্ধ বের হওয়ার কথা শুনে তিনি চুলার লাইন ঠিক করে দিয়েছেন।