রাজনীতিবিদদের যেমন ন্যূনতম নৈতিক মান বজায় রাখা উচিত, ঠিক তেমনই একজন সম্পাদকের ন্যূনতম নৈতিক মান বজায় রাখা উচিত। একজন রাজনীতিক যদি নৈতিকতার বিবেচনায় সমালোচিত হতে পারেন, একজন সম্পাদকও তেমন নৈতিকতার বিবেচনায় সমালোচিত হতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এক-এগারোর সময়কালের ঘটনার বিবরণ মাত্র। এখানে কোনো অত্যুক্তি নেই, বিষোদ্গার নেই। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা সেই সময়ে সেনা সমর্থিত সরকার কর্তৃক রাজনীতি ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে নির্যাতন হয়রানি হয়েছিল, তারই পরিষ্কার চিত্রটি দেখতে পাই। এখানে কোনো হিংসা-প্রতিহিংসার বিষয় নেই।
হাসানুল হক বলেন, সংবাদপত্র বা সম্পাদক রাজনীতিকদের সমালোচনা করতে পারেন। একজন রাজনীতিকের কি একজন সম্পাদক বা সংবাদপত্রের যৌক্তিক সমালোচনা করার অধিকার নেই? রাজনীতিকরা সমালোচনা করলে এত শোরগোল কেন? প্রধানমন্ত্রী এক-এগারো পরবর্তী সংবাদপত্র ও কয়েকজন সম্পাদক নিয়ে কথা বলেছেন, সেটা সত্য ঘটনাই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কি সত্য কথা বলার অধিকার রাখেন না? গণমাধ্যম রাজনৈতিকদের সমালোচনা করলে যেমন গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তেমনি সংবাদপত্র বা সম্পাদকের সমালোচনা করলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত হয় না। কিন্তু দুই পক্ষের অযৌক্তিক সমালোচনা গণতন্ত্রকে ক্ষতি করে, এতে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি উৎসাহ পায়।