10অর্থ পাচারের অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে এক মামলায় দুই সাক্ষীকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

তবে এ দু’জনের সাক্ষ্য বাতিলে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে এ মামলায় আসামি থাকার পাশাপাশি তাদের দেওয়া সাক্ষ্যও বহাল থাকলো।

দুদকের করা এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মামুনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলীর পাওয়া রেলের সিগন্যাল আধুনিকায়নের কাজ বাতিলের হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রায় ৬ কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা ‘কমিশন’ আদায় করেন। ওই অর্থ তিনি কয়েক দফায় লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের একটি শাখায় পাচার করেন।

এ মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সাক্ষ্য নেওয়ার মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করে মামুন। হাইকোর্ট মামলা বাতিল না করে এ মামলার সাক্ষী এম শাহজাদ আলী ও তার স্ত্রী তাহমিনা আলীর দেওয়া সাক্ষ্য বাতিল করে দু’জনকে আসামি করার নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় দুদক। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ দুদকের আবেদনের নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।