২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত একটি জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এ কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দেশে ১৪ হাজার ৫০০ মেটাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১৬ সালের মধ্যে তা ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে। ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্রামে বিদ্যুতায়ন, সেতু, রেলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার এসব উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। প্রথমে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় ৯০টি গ্রামের ৬০০০ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর চট্টগ্রামের পটিয়ার ১০৮ মেগাওয়াট ইসিপিভি চট্টগ্রাম লিমিটেড, কুমিল্লার জাঙ্গালিয়ার ৫২ দশমিক ২ মেগাওয়াট লাকধানাভি বাংলা পাওয়ার লি., গাজীপুরের কড্ডার ১৫০ মেগাওয়াট বিপিডিবি-আরপিসিএল পাওয়ারজেন লি. এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ২২৫ মেগাওয়াট সিসিপিপি (এসটি ইউনিট) বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি।
পটুয়াখালী জেলায় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে নবনির্মিত শেখ কামাল সেতু ও শেখ জামাল সেতু, সিলেট সড়ক জোনে ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (ইবিবিআইপি) আওতায় নবনির্মিত ১৬টি সেতু, সিগনালিং ব্যবস্থাসহ টঙ্গী-ভৈরববাজার ডাবল লাইন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ২য় রেললাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন, নারায়ণগঞ্জ শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সোনাকান্দা পানি শোধনাগারেরও উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও তিনি জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন।