রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুস হত্যা মামলার পুনঃবিচারের রায়ে দুই জেএমবি ক্যাডারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো সাতক্ষিরা জেলার ইটাগাছা গ্রামের আব্দুর রহমান মাস্টারের ছেলে শফিউল্লাহ ওরফে তারেক ওরফে আবুল কালাম ও নওগাঁর সারকডাঙ্গা এলাকার হাজি আব্দুস সাত্তারের ছেলে শহিদুল্লাহ ওরফে মাহবুব। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায়ে জেএমবি ক্যাডারের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হয়। এ ছাড়া এ মামলার অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করলে মামলাটি পুনঃবিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এন্তাজুল হক বাবু বলেন, আগে মামলাটির রায়ে ক্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। সেটি সংশোধন করে আজ বুধবার আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। এ রায় দেশে জঙ্গিবাদ দমনে ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো জানান, মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসার পর প্রত্যক্ষদর্শী দুইজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় অবস্থিত তাঁর বাসা থেকে ৩০০ গজ দূরে আসামিরা ছুরিকাঘাত করে ড. ইউনুসকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ড. ইউনুসের ভাই আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ওইদিনই নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। তখন মামলায় ২৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।