2বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলে বাধা, নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও চলাচলের ওপর উপুর্যপুরী হামলা এবং চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। আজ পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ২২ মার্চ ৭৩৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কলঙ্কিত প্রহসনের ৫ জানুয়ারী ২০১৪ এর একতরফা নির্বাচনের যে মডেল খাড়া করেছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এবং তার দোসর নির্বাচন কমিশন পরবর্তীতে তারা প্রতিটি নির্বাচনে সেই মডেলটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে অনুসরণ করে যাচ্ছে। এই ইউপি নির্বাচনেও যে ভোট ডাকাতিসহ আওয়ামী লীগ ক্যাডার ও পুলিশের যৌথ তান্ডব দৃশ্যমান হবে তার সকল আলামত শুরু হয়ে গেছে এখন থেকেই।

তিনি বলেন, সরকার ও সরকারি দলের বাধার কারণেই বিএনপি মনোনীত ৮৩ জন প্রার্থীরা নোমিনেশন পেপার জমা দিতে পারেনি। কেবলমাত্র বাগেরহাট জেলাতেই ৩০ জন বিএনপির ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি। এছাড়া আরো ৪/৫ জনকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো তার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের কারণেই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই।

তিনি জানান, গতকাল বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার খানপুর ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আবিদুর রহমানের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা সমর্থনকারী ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সরোয়ারকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জোর করে ধরে এনে বলতে বাধ্য করায় যে, আবিদুর রহমানের চেয়ারম্যান প্রার্থীতার সমর্থন পত্রে তিনি স্বাক্ষর করেন নি। এইভাবে দেশব্যাপী যেসব স্থানে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে সেখানে জোর করে বিএনপি প্রার্থীদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে গিয়ে সমর্থন পত্রে স্বাক্ষর করেনি মর্মে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী আরো উল্লেখ করেন, আগামী ১৯ মার্চ বিএনপি’র জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল ২০১৬ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গঠিত উপ-কমিটিগুলো পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। প্রচার ও ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, শৃঙ্খলা ও সেবা উপ-কমিটি, ড্রাফটিং উপ-কমিটি, প্রকাশন উপ-কমিটি ইতিমধ্যে সভা করে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। ঢাকা মহানগরীতে প্রচার-প্রচারণার জন্য সড়ক-মহাসড়কের বিভাজক, লাইটপোষ্ট ও সড়কদ্বীপে ফেস্টুন টাঙ্গানোর জন্য অনুমতি পেতে সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রদের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।