আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে খুন-গুম করতে না পারে সেজন্য সকল জেলার পুলিশ সুপার এবং থানার ওসিকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি দেখাতে না পারে- সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয়।
বুধবার সকালে পুলিশ সদর দফতরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এসব নির্দেশনা দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। সভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সর্তক ও তৎপর থাকার জন্যও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, নির্বাচনে কেউ গোলযোগ করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা নিতে হবে। প্রার্থীতা বাতিলের জন্য রিপোর্ট দিতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, ঝুঁকি পর্যালোচনা এবং প্রতিকারের সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সকলকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জনসাধারণের সঙ্গে ভালো আচরণ করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া এবং সম্প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা কয়েকটি অভিযোগের ব্যাপারে আলোচনা হয় সভায়। ভবিষ্যতে যাতে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে- সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এতে।
সভায় পুলিশ সদরদফতরের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষষ্ণ বালা গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এই সময়ে সারাদেশে মামলা হয়েছে ৪৪ হাজার ২শ ১৫টি।
সভার শুরুতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম) মনিরুল ইসলাম ‘সন্ত্রাসবাদের সা¤ক্স্র্রতিক ধারা এবং বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক বক্তব্য তুলে ধরেন। সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং পুলিশ সদরদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।