সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের চার পূর্ণ হলো বৃহস্পতিবার

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের চার পূর্ণ হলো বৃহস্পতিবার। ২০১২ সালের এ দিনেই সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে রাজধানীর রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। পরদিন ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সামনে বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে; যা না ঘটার পর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। থানার হাত ঘুরে তদন্তের দায়িত্ব যায় ডিবিতে।৬২ দিন পর ডিবির আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র‌্যাব। এখনও তারাই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয় তৎকালীন অনেক মন্ত্রীই আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের গ্রেপ্তারে নানা আশ্বাস দিলে কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন হয়নি।বেঁধে দেয়া সময় ৪৮ ঘণ্টা তা এখন দিন গুনে দাঁড়িয়েছে ৪৮ মাসে।৪৮ মাসেও এ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের কোন কূল কিনারা পায়নি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।দীর্ঘ সময়েও আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন না হওয়ার কারণে হতাশ সাগর-রুনির পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের চার পূর্ণ হলো বৃহস্পতিবার। কিন্তু সবার্ধিক গুরুত্ব দেয়ার পরও এই হত্যা মামলার কোনো ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা । ঘটনার চার বছরের মাথায় এসে তদন্ত কারী কর্মকর্তা বলেছেন এখনো সাগর সরোয়ারের ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপের সন্ধান করে যাচ্ছেন তারা।

রাজধানীর রাজাবাজারের হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল থেকে এই ল্যাপটপটি খোয়া যায়। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা ল্যাপটপটি উদ্ধার করতে পারলেই এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত অনেকটাই সহজ হবে। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছেন সাগর সরোয়ারের মা সালেহা বেগম । আর র‌্যারের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুনির ভাই ও মামলার বাদী নওশের আলম রোমান । তবে সাগর রুনী হত্যা মামলা বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাগর রুনী হত্যাকান্ডের বিষয়ে বহু বলেছি । আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না । সরকারের অন্য মন্ত্রীদেও কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন । এদিকে, ছেলের হত্যার বিচার সর্ম্পকে জানতে চাইলে সাগর সরোযারের মা সালেহা মনির বলেন, এ হত্যাকান্ডের বিচার হবে না । এর সঙ্গে উচ্চ মহলের হাত রয়েছে । চার বছর শেষ হয়ে গেল বিচার পাইনি এখন আর এ বিচার চাই না বিচার আল্লাহর কাছে দিয়ে রেখেছি । তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছা নেই , পাশাপাশি প্রশাসনও নীরব। যে এ কাজটা করেছে সে সরকারের চেয়েও প্রভাবশালী। তা না হলে কে এম লোক যার কথা প্রকাশ করছে না সরকার । নিশ্চই সরকারের কাঁধের ওপর রাইফেল আছে । রুনির ভাই ও মামলার বাদী নওশের আলম রোমান বলেন, মামলার তদন্তে আমার হতাশ এ মামলার তদন্ত সঠিক ভাবে হচ্ছে না । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব সদর দপ্তরের উপপরিচালক সহকারী পুলিম সুপার ( এএসপি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলার তদন্ত এখনো চলছে । কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি । এছাড়া হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপের তথ্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি ) মাধ্য্যমে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে । ল্যাপটপটি অন করা হলে আমরা তার লোকেশন জানতে পারবো। এজন্য ব্যবস্থা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে । মামলার সুষ্ঠু তদন্ত্রেও স্বার্থেই আমার অপেক্ষা করছি ।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে সেই সময় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে সেই মামলা থানা পুলিশ পরে তা ডিবিতে ( গোয়েন্দা পুলিশ) গড়ায়। ডিবিও হত্যার মোটিভ বের করতে ব্যর্থ হওয়ায় তা পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিলে র‌্যাবে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাব।ইতিমধ্যে একাধিকবার বদল করা হয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আলামত পাঠিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলার তদন্ত সংস্থার কাছে সেই পরীক্ষার প্রতিবেদনও এসেছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।সাংবাদিক এই দম্পতির মধ্যে সাগর সারোয়ার ছিলেন বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান মেঘ। সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি ২০১২ সালে খুন হওয়ার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরার আশ্বাস দিয়েছিলেন।তার নয় মাস পর কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ঘটা করে।এরপর ৪৮ মাস গড়িয়ে গেলেও এখনও এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ র‌্যাব আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিমাসে শুধু তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদনই দিয়ে যাচ্ছে, তবে সেই অগ্রগতি কোনো উপসংহারে আসছে না। হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে শুরুতে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো রাজপথে থাকলেও নিজেদের বিভাজনের নানা মেরুকরণে সেই সক্রিয়তাও এখন আর নেই।এই অবস্থায় মামলার বাদী রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান এই হত্যারহস্যের জট খোলার কোনো আশা আর করতে পারছেন না; যদিও র‌্যাব বলছে, সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।২০১২ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।ওই বাসায় বাবা-মায়ের লাশের সঙ্গে শুধু তাদের শিশু সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘকেই পাওয়া গিয়েছিল। অপেশাদার খুনিরা ধারাল অস্ত্রের আঘাতে দুজনকে হত্যা করেছিল বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়।এই হত্যাকাণ্ডের চার বছর পেরুনোর একদিন আগে বুধবার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সব হত্যাকাণ্ডেরই যে দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যায়, তা নয়। স্পর্শকাতর মামলাগুলোতে সময় লাগে।সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড একটি স্পর্শকাতর মামলা। এ কারণে এর রহস্য উদ্ঘাটনে একটু সময় লাগছে। র‌্যাব আন্তরিকভাবেই কাজ করছে।

তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে প্রায় প্রতি মাসেই একবার করে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিয়ে যাচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা। সর্বশেষ ১৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী তারিখ রয়েছে ২৮ ফেব্র“য়ারি।ডিবির দুজনের হাত ঘুরে র‌্যাবের দুজন এই তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন। ওই চারজনের পর এখন র‌্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ চালাচ্ছেন তদন্ত।তদন্তে কোনো অগ্রগতি না দেখে হতাশ মামলার বাদী নওশের বিডিনিউজ বলেন, এই হত্যারহস্যের উন্মোচন হবে বলে আমি এখন আর বিশ্বাস করি না। এভাবেই বছরের পর বছর পার হবে।এখনও দৃশ্যমাণ কোনো অগ্রগতি দেখাতে না পারলেও ‘গুরুত্ব’ দিয়েই তদন্ত চলছে বলে দাবি মুফতি মাহমুদের।সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে।ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে। তার প্রতিবেদন আসার পর যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানান র‌্যাব মুখপাত্র।এই আলামতের তালিকায় ছিল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, ছুরির বাট, সাগরের মোজা, একটি কম্বল, সাগরের পরনের প্যান্ট, সাগরের হাত-পা যে কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়েছিল সেই কাপড় ও রুনির পরনের টি-শার্ট।

প্রথম দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এসব আলামতে পাওয়া নমুনার সঙ্গে দুজন ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইল মিলেছে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কিছু বলা হয়নি এ বিষয়ে। নিহত সাংবাদিক দম্পতির পারিবারিক বন্ধু তানভীর, ভবনের দুই নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও এনামুল ওরফে হুমায়ূন কবীর এবং পাঁচ ডাকাত রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণ নামে আটজনকে শনাক্তের দাবি করে ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সাহারার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা মহীউদ্দীন আলমগীর। তখন সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। পরে পাহারাদার এনামুলও গ্রেপ্তার হন।র‌্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ জানান, এদের মধ্যে গত বছর তানভির, পশাল রুদ্র পাল ও মিন্টু উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে গেছেন কারাগার থেকে। বাকি পাঁচজন এখনও কারাগারে। বেশ কিছুদিন বিরতির পর হত্যাকাণ্ডের চতুর্থ বছর পূর্তিতে বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ ডেকেছে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো।বৃহস্পতিবার কোনো কর্মসূচি রয়েছে কি না- জানতে চাইলে হতাশার সুরে নওশের বলেন, না, কোনো কর্মসূচি নেই। তবে শুক্রবার বাদ আছর ইন্দিরা রোডে আমাদের বাসায় মিলাদ হবে।সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মেঘ এখন গুলশানের একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।এখনও সে মাঝে-মধ্যে বাবা-মার জন্য কান্না করে বলে জানান মামা নওশের। বেশ কিছুদিন বিরতির পর হত্যাকাণ্ডের চতুর্থ বছর পূর্তিতে বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ ডেকেছে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রকাশ করতে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এক মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রকাশ না করতে পারলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া বলেও জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি জামালউদ্দিন।

তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি জানাতে ব্যর্থ হয় তবে কঠোর আন্দোলনে যাবেন সাংবাদিকরা। আমরা এরপর জনসংযোগ করবো, মিছিল সমাবেশে যাবো। রাজপথে এই বিচারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করবো।এর আগে সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার দাবিতে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সমাবেশে যোগ দেয় তাদের একমাত্র সন্তান মেঘ। দুপুর সাড়ে ১২টায় মামা নওশের আলীর সঙ্গে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয় সাগর-রুনির এই সন্ত্রান। বেশ কিছুক্ষণ সমাবেশস্থলে অবস্থান করে দুপুর পৌনে ২টায় বাসায় ফিরে যায় সে।

এ সময় ইন্ধিরা রোডে রুনির মায়ের বাড়িতে আগামী শুক্রবার (১২ ফেব্র“য়ারি) মিলাদ মাহফিলে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান মেঘের মামা নওশের৪৮ মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার হয়নি সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের। বিচার না হওয়াকে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ ব্যর্থতা বলে স্বীকার করেন সাংবাদিক নেতারা।সমাবেশে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত থেকে সাগুর-রুনি হত্যার বিচারের দাবি তোলেন।