দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বিশ্বের অন্যতম ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতার আয়োজক ফোরাম পোল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা গ্রান্ড প্রিক্স ফটো-ফেস্টিভাল ২০১৬ সালের বিশ্বব্যাপী ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার জন্য বাছাইকৃত চূড়ান্ত ১০ প্রতিযোগীর মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সাদমান শহীদ। ২৭ বছর বয়সী ফটোগ্রাফার সাদমান ‘অজনা’ নামের তার বিমূর্ত চিত্রের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ফটোগ্রাফিক আসরে অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। ‘অজনা’ একটি সংস্কৃত শব্দ, ইংরেজীতে বলা হয় ‘থার্ড আই’।
এই মুহূর্তের জন্য আমরা সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। চূড়ান্ত তালিকায় দশ জন ফটোগ্রাফারের মধ্যে সাদমানের নাম ঘোষণায় আমরা আনন্দিত। ১০ জন ফটোগ্রাফারের মধ্যে ৩ জন জার্মান, ২ জন স্পেনিয়ার্ড ও ২ জন বেলজিয়াম একজন ফ্রান্সের এবং একজন পোল্যান্ডের নাগরিক।
বর্তমানে দেশের শীর্ষ ফটোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট ‘পাঠশালা’ ফটোগ্রাফার সাদমান বলেন, ক্যামেরায় নিজেকে তুলে ধরার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি আজ এ অবস্থানে পৌঁছেছেন। সাদমান #দৈনিকবার্তা কে বলেন, সবকিছুই মহাবিশ্বের অংশ এমনকি আপনি এই আধ্যাত্মিক অনুভূতি থেকে আমার এই ধারণা এসেছে। আমার ফটোগ্রাফির কাজ প্রধানত পুরান প্রতীকের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে তিনি একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেন, তখন নিজেকে রঙ ও আপ্পোর প্রয়োগে সুররিয়ালিস্টিক শিল্পীতে উন্নয়নের আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
ফ্রি-ল্যান্স ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার সাদমানের জন্ম ঢাকায় এবং এখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন। এর আগে জার্মানি, নরওয়ে, চীন ও ফ্রান্স, ভারত ও বাংলাদেশে তার ফটোগ্রাফি প্রদর্শিত হয়েছে। তিনি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জাস্ট ফটোমাস্টার ক্লাস ফটো প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত হন এবং ২০১৫ সালে চীনে দালি ফটো ভেস্টিভালে বিকাশমান এশিয়ান ফটোগ্রাফার ক্যাটাগরিতে তৃতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন। সাদমান বাসস’র সিনিয়র সাংবাদিক শাহরিয়ার শহিদের পুত্র এবং বরেণ্য সাংবাদিক মরহুম শহিদুল হকের নাতি। সাদমান বলেন, তার চাচা বিশিষ্ট শিল্পী এবং ফ্যাশন ডিজাইনার মরহুম শাহরুখ শহীদের কাজ তাকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং ফটোগ্রাফি ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য তার কাজ থেকে প্রেরণা পেয়েছেন।