দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিমি. দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ২০১৯ সালে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। বুধবার সকালে রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় ৮ হাজার ৯’শ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপি ভিত্তিতে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাইলিং নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাইলিং এর কাজ ১০ ভাগ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮১০টি পাইলের মধ্যে ৮৪টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর হতে কমলাপুর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হবে রেললাইনের পাশ দিয়ে। তাই নির্মাণকালে জনভোগান্তি কিংবা যানজটের কোন আশংকা নেই। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। উত্তরায় প্রকল্পের অর্থায়নে ১২’শ ফ্ল্যাট নির্মাণ করে ক্ষতিগ্রস্থতের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হবে। পুনর্বাসন এলাকায় বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিন ধাপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। র্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ কিমি.। পরে মন্ত্রী কুড়িল এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সার মিটারে চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্টের চলমান কার্যক্রম ও সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু বিভাগের প্র্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মদ, এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফেরদৌস, বিআরটিএ’র পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিজয় ভূষণ পাল, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইটাল-থাই প্রা. লি. এর প্রতিনিধিসহ সেতু বিভাগ এবং এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।