প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: কাতার আগামী ২ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখের বেশী কর্মী নেবে।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি অতি সম্প্রতি কাতার সফরকালে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ-বিন-নাসের বিন খলিফা আল-থানি এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. ইসা আল-জাফালি আল-নুয়াইমির সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক করলে কাতারের মন্ত্রীদ্বয় সেদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাংলাদেশী কর্মী নেয়ার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় উভয় দেশের যৌথ কমিটির এক বৈঠক করার ব্যাপারেও সে দেশের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. ইসা আল-জাফালি আল-নুয়াইমি একমত প্রকাশ করেছেন।

নুরুল ইসলাম বিএসসি রোববার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর কাতার সফরের অভিজ্ঞতা ও সার্বিক সাফল্য তুলে ধরতেই এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, সফরকালে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল-থানি ছাড়াও সেদেশের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. ইসা আল-জাফালি আল-নুয়াইমির সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নেওয়ার জন্য কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. ইসা আল-জাফালি আল-নুয়াইমি বলেন, ‘আমরা বিক্রয়কর্মী নার্স, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, আইটি অফিসার ও অফিস কর্মচারীসহ সকল সেক্টরে কর্মী নিতে চাই’।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, কাতারে কর্মী অভিবাসন বৃদ্ধি করার সুযোগকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে,দীর্ঘ মেয়াদে এ সুযোগকে ধরে রাখা এবং বাংলাদেশী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষিত করে সম্ভাব্য সকল সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো।তিনি বলেন, এজন্য বিশ্বকাপ ফুটবলের পরও ‘কাতারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ভিশন-২০৩০’র বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সকল সেক্টরে লোকবল প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে, যা কাতার সরকার সানন্দে গ্রহণ করেছে।নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ২০১৫ সালে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯শ’৬৫ জন কর্মী কাতারে গেছে । কাতার এখন থেকে এর দ্বিগুণ সংখ্যক কর্মী নেবে। যা আগামীতে অব্যাহত থাকার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশী কর্মীদের দক্ষতা ও কাজের আন্তরিক প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বার্তা এবং বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। উভয় পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন।

এছাড়াও উভয় পক্ষ বাংলাদেশী কর্মীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে কারিগরি পর্যায়ে আলোচনা শুরুর বিষয়ে একমত পোষণ করেন।প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে যে, কাতারে বাংলাদেশী কর্মীগণ তুলনামূলকভাবে ভালো আছেন। কাতার সরকারও কর্মীর অধিকার ও তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য তাদের শ্রম আইন সংস্কার করেছেন এবং এর বাস্তবায়নের জন্য পরিদর্শন কর্মসূচি বাড়িয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার মোঃ ইফতেখার হায়দার, বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শামছুন নাহার, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।