দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর তাইনানে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে পৌঁছেছে। শনিবার সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শহরটির একটি ১৬ তলাসহ ভবনসহ মোট ১১টি ভবন ধসে পড়ে। এ সব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে রোববার ১২০ জনের বেশি মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইনানের মেয়র উইলিয়াম লাই উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, এখনো ১২৬জন নিখোঁজ আছেন। এদের মধ্যে ১০৩ জন ধ্বংসস্তূপের বেশ গভীরে আটকা পড়ে আছেন। তাঁদের কাছে সরাসরি পৌঁছানো খুব কঠিন।এদিকে দেশটির কর্মকর্তারা জানান, আবাসিক ভবনের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তাইওয়ানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেন উই জেন বলেন, নতুন চান্দ্রবর্ষের ছুটির কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ১৬ তলা ভবনে অনেক বেশি বাসিন্দা অবস্থান করছিলেন। তবে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কতজন বাসিন্দা ছিল তা নিশ্চিত নয়। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ভবনে ৯৬টি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। তাইনানের ফায়ার সার্ভিসের তথ্য কর্মকর্তা লি পো মিন বলেন, ওই ভবনে ২৪০ জনের মতো বাসিন্দা ছিলেন।তাইনানের মেয়র উইলিয়াম লাই বলেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা ও তাঁদের স্বজনেরা ভবনের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। উদ্ধারকাজ চলার সময় প্রমাণ হিসেবে নমুনা সংরক্ষণের জন্য আমরা তিনটি স্বাধীন কমিশন গঠন করেছি। তাই বাসিন্দারা আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে চাইলে আমরা সাহায্য করতে পারব। ভবন নির্মাণকারীরা আইন অমান্য করে থাকলে আমরা তাদের ছেড়ে দেব না।
ইয়ই চেন-সেন নামের এক ব্যক্তি জানান, তাঁর শাশুড়ি আট সদস্যের পরিবার নিয়ে ১৬ তলা ভবনটিতে থাকতেন। তাঁরা এখনো চাপা পড়ে আছেন। তিনি এএফপিকে বলেন, ভবনটি ভালোভাবে নির্মাণ করা হয়নি। দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ছিল এবং সম্প্রতি কয়েক বছরে কয়েকটি ভূমিকম্পে ওই ভবনের টাইলস খসে পড়ে। আশা করি, এতগুলো মানুষের মৃত্যুর দায়ে সরকার ভবনের নির্মাতাদের আইনের আওতায় আনবে।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৪।