দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: চলতি অর্থবছরের বাজেটে পর্যটন খাতের ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংক ভ্যাট ও এআইটি সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ খাত থেকে ভ্যাট ও এআইটি সংগ্রহ না করতে নির্দেশনা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।এনবিআরের ভ্যাট অনুবিভাগ থেকে জারি করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দেশে-বিদেশে যেকোনো ধরনের ভ্রমণের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে তাহলে তারা ট্যুর অপারেটর হিসেবে গণ্য হবেন। আর এ ধরনের অপারেটররা ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত খাত হিসেবে গণ্য হবে।
মূলত দেশের পর্যটন খাতকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এবং বিদেশী পর্যটকদের দেশে আগমন বাড়ানোর লক্ষ্যে খাতটিকে এ অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য পর্যটন খাতে বিভিন্ন ধরনের নীতি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে খাতটিকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংক বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানের বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ও ১০ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর কর্তন করেছে বলে এনবিআরে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার দাবি জানায় পর্যটন খাতের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়।ওই চিঠিতে আইনগত বিভিন্ন ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে বলা হয়, যেহেতু ট্যুর অপারেটররা ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত খাত— তাই তাদের কাছ থেকে যেন ভ্যাট কর্তন করা না হয় সে বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়।জানতে চাইলে টোয়াবের সভাপতি অধ্যাপক আকবরউদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যটন খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সরকার ট্যুর অপারেটরদের ভ্যাট ও এআইটি অব্যাহতি দিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংক এ খাতের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ভ্যাট সংগ্রহ শুরু করে। বিষয়টিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে আমরা এনবিআরে চিঠি দিয়েছিলাম। আশা করছি সন্তোষজনক জবাব পাব।