মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: চলতি বছরের ডিসেম্বরে মরক্কোয় অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলন থেকে এবার খালি হাতে ফেরা নয়, ক্ষতিপূরণ নিয়েই ফিরতে হবে বলে জানিয়েছেন দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (এএইচটিটিআই) একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, একশনএইড বাংলাদেশ, সিডিকেএন, এনএসিওএম যৌথভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ওয়ারশ আন্তর্জাতিক পদ্ধতি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী (৬-৭ ফেব্র“য়ারি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, সম্মেলন শুরু হতে আট মাস সময় বাকি। এ সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত প্রস্তুতি নিতে, বন ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমাসে এ বিষয়ে একটি করে সভাও করা হবে। সভায় সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।প্রস্তুতি ও ভালো দাবি নিয়ে সম্মেলনে যাবে বাংলাদেশ। প্রয়োজনে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অন্য দেশেরও সহায়তা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মায়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুযোর্গের সঙ্গে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ক্ষতি মোকাবেলায় বাইরের সাহায্যের অপেক্ষায় না থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।সরকার ক্ষতি মোকাবেলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। দুযোর্গ ঝুঁকি হ্রাস তহবিল গঠন জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, জলবায়ুর ক্ষতির দিকগুলো চিহ্নিত করতে হবে।দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সচিব শাহ কামাল এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে একটি হলেও আমাদের মধ্যে সমন্বয় ও ঐক্য না থাকায়, আমাদের কথা বিশ্ব শোনে না।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. সেলিমুল হক বলেন, ভিক্ষা নয়, যুক্তি দিয়ে ক্ষতির বিষটি তুলে ধরতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকার, গবেষকসহ যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করে, তাদের সমন্বয় করার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তার মাত্রা নিরূপণ করা খুবই জরুরি। কারণ ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব নিরূপণ করতে না পারলে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পরিবেশগত নানা ঝুঁকিতে পড়বে। কর্মশালায় দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ সভাপতিত্ব করেন।