দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার তার মায়ের নামে নির্মিত শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালের কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থেকে নির্ধারিত ফি দিয়ে নিজে টিকেট কেটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার স্বাস্থ্য নিয়মিত পরীক্ষা করাতে শুক্রবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর তেতুইবাড়ি এলাকাস্থিত শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালে যান। হাসপাতালে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের নাম নিবন্ধন করেন। পরে তিনি নির্ধারিত ফি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। প্রধান মন্ত্রী হামপাতালে পৌছলে হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়তুন সোলায়মান ও পরিচালক আরিফ মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
জানা গেছে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই হাসপাতালের কাউন্টারে গিয়ে নিবন্ধন করেন ও চেকআপের ফি দেন। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত প্রধানমন্ত্রীর নাক, কান, গলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা করেন। চোখ পরীক্ষা করেন অধ্যাপক ডা. দ্বীন মো. নুরুল হক। এছাড়া ডা. ওয়াজিহা আক্তার জাহান, ডা. বনজবা ও ডা. শাহানা ফেরদৌস স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ হাসপাতালটিকে বেছে নেন। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদেরও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সাহায্য দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গতঃ ২০১৩ সালের ১৮ নবেম্বর মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কেপিজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। এর নামকরণ হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা।
মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশু, চক্ষু, নাক-কান-গলা, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার আধুনিক ব্যবস্থার জন্য এ হাসপাতাল ইতোমধ্যে প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা ছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান ও অন্য সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।