দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবহন চত্বরের পাশের লেক ওআর প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেকে পাখিদের খনসুটি দেখে আর উড়াউড়ি দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। শীতকালের ছুটির দিন গুলিতে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে ক্যাম্পাসে। তবে শুক্রবার পাখিমেলাকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থী ছিল অন্যঅন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। দর্শনার্থীদের মধ্যে ছোট শিশু থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধরাও ছিলেন।
পাখপাখালি দেশের রতœ, আসুন করি সবাই যতœ” এই শ্লোগানে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ^বিদ্যালয়ের মহুয়া চত্বরে সকাল ১১ টায় প্রধান অতিথি উপাচার্য ড.ফারজানা ইসলাম বেলুন উড়িয়ে পাখি মেলার উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারমেন মুকিত মজুমদার বাবু, বার্ড ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ আব্দুর রহমান, আইইউসিএন বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক হাসিব ইরফান উল্লাহ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পাখিমেলা ২০১৬ এর আহ্বায়ক কামরুল হাসান প্রমুখ।
মেলায় স্টলগুলো সাজানো ছিল মমি করা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ও অতিথি পাখি, পাখী বিষয়ক বই-পুস্তক, ক্যালেন্ডার এবং পাখি সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন পোস্টার ও ছবি। এ সকল মমি পাখির মধ্যে কালেম, কাঠময়ূর, জলপিপি, জলময়ূরি, ময়না, শঙ্খচিল, পেঁচা, ফিঙে, তিতির, কবুতর, পাতি ক্যাস্ট্রো উল্লেখযোগ্য। মেলায় শিশু-কিশোরদের পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্রপত্রিকা প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, অডিও-ভিডিওয়ের মাধ্যমে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মেলায় পাখির নতুন ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি নিয়ে কাজ করার জন্য ৩ জনকে বিগ বার্ড এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন, বরিশালের আব্দুল মজিদ শাহ শাকিল, মৌলভীবাজারের সৈয়দ মো. রাতুল ও শাহরিয়ার রসতি। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, দেশে অনেক পাখি আজ বিলুপ্তি প্রায়। পাখিদের প্রতি সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে পাখিদের সংরক্ষণ করা সম্ভব। পাখির ভেসে বেড়ানোর সাথে আনন্দ এবং মুক্তির সম্পর্ক রয়েছে, তাই পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। পাখিমেলা ২০১৬ এর আহ্বায়ক কামরুল হাসান বলেন, পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই পাখিমেলার আয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থকে ধারাবাহিকভাবে ক্যাম্পাসে যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার।