দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত চা বিক্রেতা বাবুল হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে এক মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চলমান রাজনীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইস্কান্দর মির্জা শামীম,বঙ্গবন্ধু একাডেমীর মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, তেলের আগুনে চা দোকানির মৃত্যু একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মানুষ যার ওপর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে সেই পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত। সেখানে তদন্তের কী আছে? অবিলম্বে এই মামলাটিকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নিয়ে ১ মাসের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন।
পুলিশের লাঠির আঘাতে চুলা থেকে ছিটকে পড়া তেলে দগ্ধ চা দোকানির মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নিয়ে এক মাসের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।সুরঞ্জিত বলেন, তেলের আগুনে চা বিক্রেতার মৃত্যু একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মানুষ যার উপর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে, সেই পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত। সেখানে তদন্তের কি আছে? অভিলম্বে এই মামলাটিকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নিয়ে এক মাসের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন ।
এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সাবেক এই মন্ত্রী।বুধবার রাতে মিরপুরের গুদারা ঘাট এলাকায় চা দোকানি বাবুল তার দোকানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, চাঁদা না পেয়ে পুলিশ বাবুলের দোকানের কেরোসিনের চুলায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছিল। এতে কেরোসিন ছিটকে বাবুলের গায়ে আগুন ধরে যায়।অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে শাহআলী থানা থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ নয়, সোর্স দেখে পালাতে গিয়ে বাবুল দগ্ধ হন। আর বাবুল নিজেও মাদক বিক্রেতা ছিলেন।পুলিশের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কয়েকটি অভিযোগের মধ্যে এই ঘটনায় প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলসহ দেশজুড়ে আলোচনায় এলে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।পুলিশের জঘন্য আচরণের নিন্দা জানিয়ে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি চেয়ে দাবিও ওঠে সংসদে। মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।