দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: দাবি পূরণের ব্যাপারে সরকারকে ফের সময় বেঁধে দিয়েছেন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। ২৩ ফেব্র“য়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।বেতন ও গ্রেড-সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব কথা জানানো হয়েছে।এর আগে ফেডারেশনের নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সাধারণ সভা করেন। সভা শেষে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের ফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে তাঁরা তাঁদের অবস্থান জানাবেন। এরপর ২৩ ফেব্র“য়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত মাসে লাগাতার কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে তাঁরা কর্মবিরতি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরেন।
ওই সময় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩ ফেব্র“য়ারির মধ্যে সরকার তাদের দাবি পূরণ করবে বলে তাদের আশা। আর তা না হলে তারা পর্যালোচনা সভা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। এর ধারাবাহিকতায় আজ সরকারকে নতুন করে সময় দিলেন শিক্ষকেরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এ এইচ এম মাকসুদ কামাল।বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিলাম। আজকের সভায় এটি ২৩ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।ওইদিনের মধ্যেই শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে সমাধান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন ফেডারেশনের মহাসচিব।না হলে ওইদিন সকালে ফেডারেশনের সাধারন সভায় স্থগিত কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।সমাধান যদি সকলের নিকট সম্মানজনক হয়, তাহলে সরকার থেকে শুরু করে সবাইকে ধন্যবাদ জানাব। আর যদি সম্মানজনক না হয়, তাহলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
সংবাদ সম্মেলনে বেতন বৈষম্য নিরসনে সরকারের শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ কামাল। ফেডারেশনের সঙ্গে সরকারের চার জন উচ্চপদস্থ সচিবের দুই দফা আলোচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গেও একদফা আলোচনা হয়েছে।আমাদের মনে হচ্ছে, আমরা সম্মানজনক সমাধানের দিকেই অগ্রসর হচ্ছি। তবে আমলাদের মন-মানসিকতার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে।এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ২ ফেব্র“য়ারি চারজন আমলা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। ১১ ফেব্র“য়ারি দ্বিতীয় দফা আলোচনার কথা ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেটা ১১ থেকে ৭ ফেব্র“য়ারিতে এগিয়ে আসে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, সরকার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, অগ্রগতি আছে।এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সমাধান আমরা পাইনি। তবে দ্রুতই সমাধানে পৌঁছাতে পারব বলে আমরা আশা করছি।কর্মসূচি স্থগিত থাকলেও শিক্ষকরা আন্দোলনের মধ্যেই আছেন বলেও মন্তব্য করে