দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্প্রচার আইনের খসড়া হাতে আসবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আর জুন মাসে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স মন্ত্রীর দফতরে সাক্ষাতের পর একথা জানান ইনু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি খসড়া আইন তৈরি করেছে, আমাদের হাতে আসেনি। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে খসড়া আমাদের হাতে আসবে, আসলে উন্মুক্ত করে দেব এবং অংশীজনের মতামত চাইবো, পরবর্তীতে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ত্রুটি বিচ্যুতি দেখে অন্তর্ভূক্ত করে সম্প্রচার আইন এবং কমিশনের কাঠামো তৈরি করবো। তারপর মন্ত্রিসভা এবং সংসদে যাবে।আগামী জুন মাসের সংসদ অধিবেশনে এই আইন তুলতে পারি কিনা- চেষ্টা করে দেখবো।আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে সম্প্রচার আইন তৈরিতে জাতিসংঘ সহায়তা করবে বলেও জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।আইনের ভেতরে সম্প্রচার কমিশন কীভাবে তৈরি হবে- তা লিপিবদ্ধ থাকবে বলে জানান ইনু। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সম্মেলন করে সাংবাদিকদের মতামত নিয়ে ‘ঢাকা ঘোষণা’ বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কাজ করবে সরকার ও গণমাধ্যম।আগামী মার্চের শেষ দিকে এই ‘মিডিয়া কনভেনশন’-এ সারা দেশের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মন্ত্রী বলেন,মিডিয়া কনভেশন করে সারাদেশের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাবো, দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে মিলিত হয়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সাংবাদিকদের কী ভূমিকা- এটা আলোচনা করবেন। গণতন্ত্র সম্পর্কে কী ভূমিকা সেটা আলোচনা করবেন। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি সংবাদিকরা কী ভূমিকা রাখতে পারে এবং কীভাবে নজরদারি করা যায়, সেই আলোচনা হবে।প্রথমবার একত্রিত হয়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, গণতন্ত্র এবং এসডিজি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা সাংবাদিকদের ভূমিকা কী সেটা তারাই আলোচনা করবেন, সরকার শুধুমাত্র উদ্যোগ নিচ্ছে, অংশ নিচ্ছে সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, কনভেনশন শেষে ঢাকা ঘোষণা দেবেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার এবং এসডিজি অর্জনের ব্যাপারে তাদের (সাংবাদিক) বক্তব্য ঢাকা ঘোষণা হিসেবে ব্যবহার করা হবে এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য সরকারও কাজ করবে, গণমাধ্যমও কাজ করবে। সেজন্য ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।মার্চের শেষ দিকে করার চিন্তা করছি, জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন এক্ষেত্রে ইউএনডিপি সহায়তার আগ্রহ দেখিয়েছে।এরআগে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স মন্ত্রীর দফতরে সাক্ষাৎ করেন।ভূমিকম্প মোকাবেলায় কী প্রস্তুতি গণমাধ্যমের মাধ্যমে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
ভূমিকম্প রিপোর্টিংয়ে সক্ষমতা লাগে, সচেতনা দরকার- সেখানে গণমাধ্যম কীভাবে সহায়ক, কী রকম প্রশিক্ষণ দরকার, ভূমিকম্পের পর জীবনহানি কীভাবে কমানো যায়, প্রচার এবং সচেতনতা দরকার। সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণেও ইউএনডিপি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সুনির্দিষ্ট আইন না থাকার জন্য অনেক সময় অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়। ভুল বোঝাবুঝির হাত থেকে রক্ষার জন্য সম্প্রচার আইন দরকার। সেই আইনের আলোকে সম্প্রচার কমিশন দরকার। সম্প্রচার কমিশনার তৈরিতে ইউএনডিপি সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।