noman20151109071801

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সরকার পতনের কফিনে শেষ পেরেক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।বিএনপি যাতে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে না পারে সেজন্যই কাউন্সিলকে বাধাগ্রস্থ করতে সরকার ষড়যন্ত্র করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন ভাসানী ভবনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। ঢাকা মহানগর কৃষক দল এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। নোমান অভিযোগ করেন, বিএনপির কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু সরকার চায়, বিএনপির কাউন্সিল যাতে সফল না হয় এবং সাংগঠকিভাবে শক্তিশালী না হয়। সেজন্যই কাউন্সিল ঘিরে আরেকটি চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তার সাজা হবে না। তারপরেও সরকার অপচেষ্টা করছেন। এ সরকার মামলাবাজ সরকার। যত অত্যাচার করুন না কেন জনগণের বিচার হল শেষ বিচার। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এদেশের জনগণ মেনে নিবে না। জনগণ জেগে উঠলে এ সরকারের পতন অনিবার্য। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রীকে হয়রানি করতে এবং মানসিকভাবে ব্যস্ত রাখতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছে, যাতে কাউন্সিল সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব না হয়।‘কিন্তু বিএনপির কাউন্সিল যথাসময়েই হবে এবং সেই কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন-পুরাতন মিলিত একটি কমিটি হবে। প্রয়োজনে গঠনতন্ত্র সংশোধন হবে। এর মাধমে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। সেই নেতৃত্ব অগ্রবাহিনী হিসেবে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এ সরকারের পরাজয়কে ত্বরান্বিত করবে- বলেন নোমান।বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাকে রাজনৈতিক এবং মিথ্যা বলেও অভিহিত করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা টিকবে না।শেষ পর্যন্ত এটি মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং জয় জনগণেরই হবে। কারণ, মিথ্যা কখনো সত্যের কাছে জয়লাভ করেনি।তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল যখন কোনো সত্য কথা বলে এবং সে কথা আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, তখন মামলা দিয়ে সরকার সে বিষয়টিকে শেষ করতে চায়। তবে এভাবে মামলা করে শেষ রক্ষা হবে না।সরকার উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করছে দাবি করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করে অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। এর চেতনাই ছিলো গণতন্ত্র। গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। যারা গণতন্ত্র রাখে না, তারো কখনো টিকে থাকেনি। আইয়ুব খান, এরশাদও টিকে থাকতে পারেননি।আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির হায়দারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।