দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১ ফেব্র“য়ারি,২০১৬ : গাজীপুরে সোমবার রাতে সন্ত্রাসীর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এসআই ও এএসআইসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ছোরাসহ এক যুবককে আটক করে। আটককৃতের নাম সরাফত আলী (৪০)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের রথখোলা এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে এবং গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেনের বড় ভাই।
গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, সোমবার রাত পৌণে ৮টার দিকে গাজীপুর শহরের শিববাড়ির মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড এলাকায় সন্দেহ জনক ঘোরাঘুরি করার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাদা পোশাকে একটি দল সরাফত ও তার সঙ্গীদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় পালিয়ে যাওয়ার জন্য সরাফত পুলিশ সদস্যদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অত্যাধুনিক একটি ছোরাসহ সরাফতকে আটক করে। তবে তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (৩৮), এএসআই সুমন মিয়া (৩২) ও কন্সটেবল এরশাদ হোসেন (৩২) আহত হয়। আহতদের শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও মাদক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। সরাফত আলী গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেনের ভাই।