10_100344

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬: সোমবার ১ ফেব্র“য়ারি থেকে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শুরু হবে। এ বছর দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের ৩ হাজার ১৪৩টি কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন বেশি। পরীক্ষা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সফলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে।এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবকসহ সকলের নিকট আনন্দদায়ক ও উৎসবমুখর হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্নর জন্য তিনি শিক্ষক, অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।এ বছর ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে । গত বছরের তুলনায় এবার ছাত্র ৭৯ হাজার ৫৯৪ জন ও ছাত্রী ৯২ হাজার ৬৬৩ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১১টি ও কেন্দ্র ২৭টি বৃদ্ধি পেয়েছে।এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৭ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবছর ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৭৪ জন ও বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১, ২, ৩, ও ৪ বিষয়ে) ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৪ জন।

এসএসসিতে এ বছর ছাত্র ৬ লাখ ৪২ হাজার ৫০৭ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭ জন। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ১৯ হাজার ২৬০ জন বেশি।দাখিলে ছাত্র ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৬ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ২১ হাজার ৭৬৯ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ছাত্র ৭৩ হাজার ৩৩০জন ও ছাত্রী ২৫ হাজার ৫৪ জন ।তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১ ফেব্র“য়ারি শুরু হয়ে ৮ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৯ মার্চ শুরু হয়ে ১৪ মার্চ শেষ হবে।নির্দিষ্ট তারিখে পাবলিক পরীক্ষা শুরু ও ফলাফল প্রকাশের যে ধারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুরু করেছে তা একবারও ব্যত্যয় হয়নি।

দেশের বাইরে বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবী, দুবাই, বাহরাইন এবং ওমানের সাহাম। বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০৪ জন।এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে।গতবারের এসএসসি’র মতই এবারও বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে।দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্র“তি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তার অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বছর অটিস্টিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ জন।