1454132340_2016_01_30_10_43_33_3JOcxJ7c03UXI7f4L4A5NaiMBnCzvR_original

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিরসনে শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে প্রধান বিরোধী গ্র“প জেনেভায় পৌঁছেছে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আয়োজিত শান্তি বৈঠকে যোগ দেবে না এমন হুমকি দেয়ার একদিন পরই তারা জেনেভা পৌঁছালো।তবে একজন মুখপাত্র বলেন, সিরীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার আগে বিমান হামলা বন্ধ ও অবরোধ তুলে নেয়ার যে দাবি জানিয়েছিল এখনো তাতেই অনড় তারা।প্রধান বিরোধী গ্র“পের প্রতিনিধি দল রোববার জাতিসংঘ দূত স্টাফান দ্য মিস্থরার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।সৌদি সমর্থিত বিরোধী গ্র“প হাই নিগোসিয়েশন্স কমিটি (এইচএনসি) শুক্রবার জেনেভায় যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়। এর আগে সিরীয় সরকারের প্রতিনিধি দল জেনেভা পৌঁছে এবং মিস্থরার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করে।

এইচএনসি মুখপাত্র সেলিম মুসলেত জেনেভা পৌঁছে বলেন, তারা সরকারি কয়েদখানা থেকে নারী ও শিশুদের মুক্তি, বিমান হামলা বন্ধ এবং দখলকৃত শহরগুলোতে ত্রাণ সহায়তা চান। তবে এসব আলোচনার কোন পূর্ব শর্ত নয়।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সব সময় আশাবাদী। কিন্তু সমস্যা হলো সিরিয়ায় আমাদের স্বৈরতন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়। সত্যিকার অর্থে বাশার আল আসাদ যদি সমস্যার সমাধান চাইতেন তাহলে সিরিয়ায় এতো অপরাধ, এতো গণহত্যার ঘটনা ঘটতো না।এইচএনসি’র প্রধান রিয়াদ হিজাব জেনেভায় যাননি। কিন্তু একটি অনলাইনে পোস্টে সতর্ক করে বলেছেন, সিরীয় সরকার এ ধরনের অপরাধ ঘটানো অব্যাহত রাখলে প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি কোন কাজেই আসবে না ।

সিরিয়া বিষয়ক আলোচনা আগামী ৬ মাস চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বৈঠকে প্রাথমিক অগ্রাধিকার পাচ্ছে ব্যাপক ভিত্তিক অস্ত্র বিরতি, ত্রাণ সরবরাহ এবং জিহাদি সংগঠন আইএসএ’র হুমকি বন্ধ করা। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় শান্তি স্থাপন করা।সিরিয়ায় সংঘাত নিরসনে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুই দফা বৈঠক শেষে আলোচনাটি ভেস্তে যায়। এজন্য জাতিসংঘ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় আনতে বিরোধীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করাকে দায়ী করে।উল্লেখ্য, সিরিয়ায় গত ৫ বছর চলা সংঘাত সহিংসতায় আড়াই লাখেরও বেশি লোক নিহত এবং ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউরোপে অভিবাসী সংকটের জন্য মূলত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধকেই দায়ী করা হচ্ছে।