দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬: আভেশ খান ও মাহিপাল লোমরোরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে চলমান আইসিসি যুব বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ভারত। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা ১২০ রানের বড় ব্যাবধানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। তাই আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্র“প থেকে চার পয়েন্ট নিয়ে সেরা আটে খেলা নিশ্চিত করল রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা। একইদিনে নেপাল আয়ারল্যান্ডকে হারানোয় তারাও পেয়ে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার টিকিট।এই ম্যাচে হারের ফলে কিউইদের আর সেরা আটে খেলা হলো না। এখন স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে খেলতে হবে প্লেট পর্বে।প্লেট পর্বে খেলতে হবে গ্রুপের আরেক দল আয়ারল্যান্ডকেও। অস্ট্রেলিয়া নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার পর আইরিশরা যোগ দিয়েছিল ডি গ্র“পে। তবে ভারত ও নেপালের কাছে হেরে তাদেরও কোয়ার্টারের আশা শেষ হয়ে গেছে।
গ্র“প পর্বের প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তাই শনিবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি কিউইদের জন্য হয়ে দাঁড়ায় বাঁচা-মরার লড়াই। জিতলে টিকে থাকবে সেরা আটের লড়াইয়ে। আর ভারত জিতলে চলে যাবে সেরা আটে। এমন সমীকরণের ম্যাচে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ৩১.৩ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে কিউইরা। পরে আর এই ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। কিউইদের ইনিংসে লিওপার্ড ৪০ এবং এ্যালেন ও স্কট ২৯ রান করে সংগ্রহ করেন। এক পর্যায়ে ৮৮ রানে ৮টি উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখিন হয় কিউইরা।
তবে নবম উইকেটে ৪৫ রান যোগ করেন আনিকেট পারিখ ও টেলর স্কট। শেষ পর্যন্ত এই দুজন হারের ব্যাবধানটা কমানো ছাড়া কিছু করতে পারেননি। পারিখের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। টেলর করেন ২৯ রান। ভারতীয় যুব দলের ডানহাতি মিডিয়াম পেসার আভেশ খান ৩২ রান খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন। আভেশ একবার হ্যাটট্রিকের আশাও জাগিয়েছিলেন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুই কিউই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান তিনি। তবে ষষ্ঠ বলে উইকেট না পাওয়ায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আভেশের সাফল্য অনুপ্রাণিত করে মাহিপাল লোমরকে। ভারতের এই বাঁহাতি স্পিনার ৪৭ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন।
এর আগে সকালে নিউজিল্যান্ড যুব দলের অধিনায়ক টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে কিউই অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে আরো যথার্থ করে তোলেন স্মিথ। ভারতীয় যুব দলের ওপেনার ও দলীয় অধিনায়ক ইশান কিষান মাত্র চার রানে ফেরান সাজঘরে। এরপর ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা রিকি ভুইকে ফেরান গিবসন। পরে সরফরাজ খান ও রিসহাব পান্তের জোড়া ফিফটির ওপর ভর করে দলীয় বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে সমর্থ হয় ভারত।তৃতীয় উইকেটে পান্থ ও সরফরাজ ৮৯ রানের জুটি গড়েন। পরে ডেল ফিলিপসের শিকার হন তিনি। আউট হওয়ার আগে পান্ত করেন ৫৭ রান করেন। আর নাথান স্মিথের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে সরফরাজ খানের ব্যাট থেকে।
পরে আরমান জাফরের ৪৬ ও লমররের ৪৫ রানে ভর করে আড়াইশো পার হয় ভারতীয় যুব দলের স্কোর। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে জ্যাক গিবসন ৩টি, নাথান স্মিথ ও রাচিন রবীন্দ্র দুটি করে উইকেট পান।